ঢাকার স্কুল এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ঢাকা কলেজ সাইন্স ক্লাবের উদ্যোগে ঢাকা কলেজে আয়োজনে করা হয় তিন দিনব্যাপি বিজ্ঞান উৎসব। গত ২৬ মে উৎসবের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. প্রাণ গোপাল দত্ত, প্রো-ভিসি প্রফেসর মো. শহিদুল্লাহ শিকদার এবং ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর তুহিন আফরোজা আলম।
এবারের উৎসবের শ্লোগান- ইনোভেশন থ্রু ইমাজিনেশন।
উদ্বোধনের পর থেকেই স্কুল এবং কলেজের বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জমে উঠে পঞ্চমবারের মত আয়োজিত এই বিজ্ঞান উৎসব। এবারের উৎসবে প্রজেক্ট ডিসপ্লে, কুইজ প্রতিযোগিতা, দাবা প্রতিযোগিতা, ওয়াল ম্যাগাজিন ডিসপ্লে, বিভিন্ন বিষয়ভিত্তিক অলিম্পিয়াড, উপস্থিত বক্তব্য, পোস্টার প্রতিযোগিতা, রোবট এক্সিবিশিন এবং ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
কলেজের মাঠে আয়োজিত প্রজেক্ট ডিসপ্লেতে নিজেদের প্রজেক্টের পসরা সাজিয়ে বসেছেন ভিকারুননেসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী নুশরাত জাহান এবং ফারহানা হক। অনুজীব থেকে কীভাবে বিদ্যুৎশক্তি তৈরি করে ঘরবাড়িতে ব্যবহার করা যাবে তেমন একটি প্রজেক্ট নিয়ে এসেছেন তারা। এই প্রযুক্তি কতটা বাস্তবায়ন যোগ্য জানতে চাইলে তারা জানান, এখন এই বিষয় নিয়ে গবেষণা হচ্ছে। সে জন্য আমরা একটি ধারনা নিয়ে এসেছি। আশা করছি খুব দ্রুত আমরা ভালো কিছু করে দেখাতে পারব।
সাম্প্রতিক সময়ে ভূমিকম্পের আঘাতে বেশ কয়েকবার কেপে উঠেছে সারা দেশ। নেপালে ভূমিকম্পের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে অনেক। ভূমিকম্পের ঝুকিমুক্ত নয় আমাদের বাংলাদেশও। ভূমিকম্পের আগাম একটি সতর্ক সংকেত দিবে তেমন একটি যন্ত্র উদ্ভাবনের প্রজেক্ট নিয়ে এসেছেন আইডিয়াল কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির দুই শিক্ষার্থী সাদিয়া তাসনিম এবং নাবিলা ইসলাম গগন। আর্থ কোয়াক ডিটেকটর নামের এই প্রযুক্তির মাধ্যমে আগেভাগে ভূমিকম্পের সংকেত জানা যাবে বলে জানায় তারা। এতে করে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি থেকে অনেকাংশে রক্ষা পাওয়া সম্ভব বলে জানায় তারা।
এমন একটি ফেস্ট আয়োজনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে ঢাকা কলেজ সাইন্স ক্লাবের সভাপতি তানভীর আহাম্মেদ তন্ময় বলেন, ২০১১ সাল থেকে নিয়মিতভাবে আমরা এই ফেস্ট করে আসছি। এর মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের ক্ষুদে উদ্ভাবনকে এবং তাদের সৃজনশীলতাকে সম্মান জানাতে চাই। তাদেরকে আরো বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে উঠতে উৎসাহ দিতে চাই।
সাইন্স ক্লাবের জয়েন্ট সেক্রেটারি নাবিল ইসলাম অয়ন বলেন, শুরু করার পর থেকেই আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। এবারও অনেক শিক্ষার্থী আমাদের ফেস্টে অংশ নিয়েছেন। আমরা আগামীতে এই আয়োজন ধারাবাহিকভাবে করতে চাই। তিন দিনব্যাপি এই উৎসব শেষ হচ্ছে আজ।