নতুন বছরকে আমরা সদা সর্বদাই খুব খুশি মনে স্বাগত জানাই। পশ্চিমা দেশগুলোতে ‘নিউ ইয়ার’ অনেক জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে উদযাপন করা হয়। কিন্তু এমন অনেক দেশ আছে যেখানে নতুন বছরের আগমন উপলক্ষে হৈ-হুল্লোড়তো হয়ই পাশাপাশি অনেক রীতিনীতিও পালিত হয় যেমন-
• স্প্যানিশরা নতুন বছরের শুরু করে ১২ টি আঙ্গুর খেয়ে। তারা নিউ ইয়ার কাউন্টডাউন এর সময় সৌভাগ্যের জন্য এটি করে থাকে। এরপর তারা ডিনার করে ভোর ৬টা পর্যন্ত পরিবার ও বন্ধুদের সাথে পার্টি করে।
• বেলজিয়ামে নিউ ইয়ার ইভ-কে Sint Sylvester Vooranvon বলা হয়। এ সময় শিশুরা তাদের বাবা-মা বা গডপ্যারেন্টসদের নতুন বছর উপলক্ষে চিঠি লিখে। তারা সেটি কে রঙিন কাগজের খামে পুরে এবং তাতে দেবশিশুদের ছবি আঁকে। রাত ১২টায় তারা সবার সামনে চিঠিটা পড়ে শোনায় ।
• গ্রিসের বাসিন্দারা ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে তাদের দরজায় পিঁয়াজ বা “kremmida”ঝুলায়। এটি নতুন বছরে পুনর্জন্মের প্রতীকী। এবং পর দিন সকালে তারা তাদের সন্তানের কপালে সেই পিঁয়াজটি ছুঁয়ে দিয়ে তাদের চার্চে নিয়ে যায়। নতুনবছরের দিন তারা সৌভাগ্যের জন্য দরজার সামনে pomegranate ফাটায় ।
• ডেনমার্কে নতুন বছর উপলক্ষে Kransekage নামের একটি বিশেষ মিষ্টান্ন তৈরি করা হয়। তারা অন্যের বাড়ির দরজায় থালা-বাসন ছুড়ে মারে যেন বছর জুড়ে ওই বাড়িগুলোতে অতিথিদের আগমন ঘটে।
• এসতোনিয়ার মানুষরা নিউ ইয়ার ইভ-এ ১২বার খাদ্য গ্রহন করে, প্রতিবার খাদ্য গ্রহনে তারা যে শক্তি পায় তাদের বিশ্বাস সমগ্র বছর জুড়ে তারা এভাবেই শক্তি পেতে থাকবে। তারা কিন্তু পুরো খাবারটা শেষ করে না। প্রতিটা খাবার কিছুটা তারা তাদের পুর্বপুরুষদের আত্মার জন্য রেখে দেন।
• আর্জেন্টাইনরা তাদের বছরের শেষ দিন মটরশুঁটি খায়। ঠিক রাত ১২টায় তারা খাওয়া শেষ করে। তাদের বিশ্বাস এতে নতুন বছরে তাদের পেশায় সৌভাগ্য আসবে।
• থাইল্যান্ডে ইংরেজি নববর্ষে বন্দুক চালানো হয়, যেন এর শব্দে অপদেবতারা পালিয়ে যায় এবং নতুন বছর তাদের জন্য মঙ্গলময় হয়।
• সুইসরা নতুন বছরকে স্বাগতম ও পুরান বছরকে বিদায় জানাতে অনেক শব্দ করে ড্রাম বাজায়, ইতালিয়রা বাজায় তাদের চার্চের বেল।