সহজ সরল অথচ আকর্ষণীয় গেমের মধ্যে DX-Ball-এর স্থান শুরুর দিকে। আমার খেলা প্রথম কম্পিউটার গেমও ছিল এটিই। সত্যিই, জাঁকজমক নেই অথচ ঘন্টার পর বসে খেললেও পর্দার সামনে থেকে উঠতে মন চায় না। মনে হয় এমন গেম এর মত কমই আছে ! এর থেকে একটু বেশি কারুকার্যের মধ্যে আসতে চাইলে নাম করা যায় Egyptian Ball-এর। এই গেমটিকে DX-Ball-এর ত্রিমাত্রিক সংস্করণও বলা চলে। পার্থক্য হলো, এখানে ভাঙতে হবে প্রাচীন দেখতে মিশরীয় সব দালানকোঠা।
DX-Ball-এ কাজ ছিল বলতে গেলে ইট ভাঙা – যাদের এটির সাথে পরিচয় নেই তাদের জন্য বলছি। তবে হাতুড়ি পিটিয়ে ইট ভাঙা কিন্তু নয় – শুনতে তেমন মনে হলেও। ভাঙতে হয় বল ছুঁড়ে! হ্যাঁ, গেম শুরু হয় বল ছুঁড়ে, সেটি গিয়ে ইটের মত দেখতে ব্লককে (Block) আঘাত করে ভেঙে আসে, বলকে তখন একটি নল বা রুটি বেলার বেলনের মত জিনিস দিয়ে ঠেকিয়ে আবার আরেকটি ব্লক ভাঙতে পাঠানো হয়।
Egyptian Ball-এর মূলনীতিও তেমনই। তবে এখানে লক্ষ্য ইট নয়, পাথরের ফলক, টব, স্তম্ভ/খুঁটি, মূর্তি, দেয়াল, পিরামিড ইত্যাদি – এমনকি মিশরের বিখ্যাত গোবরে পোকা আর উটও!
খেলার নিয়মও অনেক সোজা। বল দিয়ে ওসব ভাঙতে হবে কিন্তু সেটিকে পড়তে দেওয়া যাবে না। একবার বল ফসকালেই একটি করে Life যাবে।
চমৎকার পটভূমির পাশাপাশি খেলায় আরও বৈচিত্র্য আনে হরেক রকম Power-up ! কোনটি দিয়ে পাওয়া যায় আগুনের গোলা।
কোনটিতে বলের সংখ্যা বাড়ে চারগুণ করে।
আবার কোনটিতে পাওয়া যায় তীর, বল্লম, হাতুড়ি, বল আটকাবার জন্য দড়ি ইত্যাদি।
এই গেমটি বেশ কয়েকটি পর্যায়ে বিভক্ত – প্রতিটি পর্যায়ে বদলে যায় পটভূমি। পর্যায়গুলোর মধ্যে আবার উপপর্যায়ও আছে কয়েকটি করে। আর কিছু না হোক, ভাঙচুর করার জিনিসের অভাব নেই। এমনকি উট, বিছে কিংবা পোকামাকড় চলে এলেও ঘাবড়াবার কিছু নেই – ভাঙতে হবে সেগুলোও!
আর, সবকিছু ভেঙে একদম শেষ করার পর দেখাবে গেমের কাহিনী – কোন এক ফারাওয়ের আদেশ না কী যেন !
কাজ শেষে কারণ জানাবার মত ব্যাপার, তাই না?!
সব মিলিয়ে, খুব বেশি সময় ধরে বসে থাকতে হবে এমন খেলা এটি নয়। খেলাতে খেলতে অবশ্য সময় কখন কেটে যাবে তার খেয়ালই হয়তো থাকবে না। মোট কথা, মনোযোগ ধরে রাখার মত একটি গেম এটি।
তো, হয়ে যাক একটু পাথর ভাঙা? লিংক এখানে।