বিশ্ববিখ্যাত কোমল পানীয় প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান কোকাকোলা ভেনিজুয়েলাতে কোকসহ তাদের সব ধরণের চিনিনির্ভর কোমল পানীয় উৎপাদন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। ভেনিজুয়েলাতে সম্প্রতি চিনির ব্যাপক স্বল্পতা দেখা দেয়ার কারণে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তবে কোকাকোলার ডায়েট পানীয় যেগুলোতে চিনি ব্যবহার করা হয় না সেগুলোর উৎপাদন অব্যাহত থাকবে।
ভেনিজুয়েলাতে চিনির উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণ হচ্ছে দেশটির বেশিরভাগ কৃষকের আখের চাষ বন্ধ করে দেয়া। সরকার আখ বিক্রয়ের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার সেদেশের চাষিরা আখ বিক্রি করে বেশি লাভ করতে পারে না। তাই তারা আরও লাভজনক ফসল উৎপাদনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে।
২৫০ এমএল এর একটি কোকে ৭ চা চামচ চিনি থাকে। এতো উচ্চ পরিমাণ চিনি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
১৮৮৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রে কোকাকোলা উদ্ভাবন করেন জন পেম্বারটন নামের এখন ফার্মাসিস্ট। শুরুর দিকে তিনি এটিকে কিছু রোগের প্রতিষেধক বলে দাবি করেন এবং ওষুধ বলে এটি বিক্রি করতে থাকেন। আসা ক্যান্ডেলার নামে একজন পরবর্তীতে এই ফর্মুলা কিনে নেন এবং ১৮৯২ সালে কোকাকোলা কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই প্রতিস্থানের সাড়ে ৩ হাজারের উপর পানীয় রয়েছে এবং ২০০টিরও বেশি দেশে কোকাকোলা রয়েছে।