মঙ্গলের পৃষ্ঠে অবস্থিত এক আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে কাঁচের সন্ধান পেয়েছেন নাসার Mars Reconnaissance Orbiter(MRO) উপগ্রহ। ২০০৬ সাল থেকে এটি মঙ্গলগ্রহকে কেন্দ্র করে ঘুরছে।
তবে এই কাঁচ ফেলে দেয়া কোন কাঁচ নয়। এটা বিশেষ একধরণের কাঁচ যাকে বলা হয় ইমপ্যাক্ট গ্লাস। প্রচণ্ড জোরে পড়া কোন উল্কাপিণ্ডের প্রভাবে তাপ উৎপন্ন হয়ে এ কাঁচের সৃষ্টি হয়। উল্কার প্রভাবে আশেপাশের সব উপাদান কাঁচে পরিণত হয়।
নাসার গবেষকদের বিশ্বাস এই কাঁচ মঙ্গলে জীবনধারণ সম্পর্কে অনেক ধারণা দেবে।
ঘটনাটি যে সত্যি সে ব্যাপারে কোন সন্দেহ নেই কেননা এমআরও যে ইমপ্যাক্ট গ্লাসগুলো খুঁজে পেয়েছে তার মধ্যে কিছু পাওয়া গিয়েছে হারগ্রেভস নামক আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে।
নিলি ফোসাই নামের ৪০০ মাইল লম্বা একটি গিরিখাতের আশাপাশে পাওয়া গিয়েছে এগুলো। সেখানে জীবনের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে বলে অনেকদিন ধরেই গবেষকেরা ধারণা করে আসছেন।
‘উল্কাপিণ্ডের প্রভাবে যে ইমপ্যাক্ট গ্লাস তৈরি হয় তার মধ্যে অনেক উপাদান জমা হয়ে থাকে যার দ্বারা সেখানকার প্রাণ বা উপাদান সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়’- এমনটাই বলেছেন ব্রাউন ইউনিভার্সিটির গবেষক জন মাস্টার্ড।
আর্জেন্টিনায় কয়েক মিলিয়ন বছর আগে একবার উল্কাপতন হয়েছিল যার ফলে সেখানেও কিছু ইমপ্যাক্ট গ্লাসের সৃষ্টি হয়। সেসব কাঁচের নমুনা নিয়ে সেসময়ের অনেক কিছু সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গিয়েছে। মঙ্গলের ইমপ্যাক্ট গ্লাসের নমুনা সংগ্রহ করলে সেখান থেকেও নতুন অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে ধারণা করছেন মাস্টার্ড।