আবারও চলে এল ১৬ ডিসেম্বর। এইদিন আমাদের মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ পাকিস্তানীদের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তি সংগ্রামের পর। তাই এই দিনটি অনেক আনন্দের মধ্য দিয়ে বিজয় উৎযাপন করা হয় এবং একইসাথে দুঃখভরে স্মরণ করা হয় ৩০ লক্ষ শহীদদেরকে। আমাদের ৪৫তম এই বিজয় দিবস প্রতিবারের মত এবারও উদযাপিত হচ্ছে উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে। শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বেশ কিছু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে সবসময়ই। সেসব জায়গায় গেলে জানা যাবে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে অনেক নতুন কিছু।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে ৫ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে ১৭তম এশীয় দ্বিবার্ষিক চারুকলা প্রদর্শনী। এবছর বাংলাদেশের মাস্টার চিত্রশিল্পীদের শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হচ্ছে। এরা হচ্ছেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী এস এম সুলতান, শিল্পী কামরুল হাসান ও শিল্পী শফিউদ্দিন আহমেদ। আগামী ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত ও শুক্রবার ৩.০০-৮.০০ পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। এছাড়াও শিল্পকলা একাডেমীতে চলছে বর্ণমালা শিল্প প্রদর্শনী।
এদিকে ৩ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান স্বাধীনতা জাদুঘর মিলনায়তনে শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। শ্যামলছায়া, গেরিলা, ওরা ১১ জন, আগুনের পরশমণিসহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
মহান বিজয় দিবস ২০১৬ উপলক্ষে ১২ ডিসেম্বর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে হয়ে গিয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গল্পবলা প্রতিযোগিতা। ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিশু-কিশোর, প্রতিবন্ধী, অটিস্টিক ও শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে জাদুঘর পরিদর্শন করানো হবে।
এছাড়াও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৫ ডিসেম্বর সূর্যাস্তের পর থেকেই টিএসসি’তে শুরু হবে উৎসব। ‘রক্তে রাঙা বিজয় আমার’ শিরোনামে প্রতিবছরের মত এবারও বিজয় দিবসকে বরণ করে নেবে টিএসসি কেন্দ্রিক সংগঠনগুলো। থাকছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রতিকৃতি প্রদর্শনী, মশাল মিছিল, ফানুস উড্ডয়ন ও আতশবাজি পড়ানো। এছাড়াও বিভিন্ন শিল্পীর অংশগ্রহণে হবে কনসার্ট।