শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের এক হতে হবে

আমাদের দেশের এই পরিস্থিতি গনতন্ত্রের অর্থ পাল্টে দিয়েছে। রাস্তায় বোমা মারা, নিজ দেশের মানুষকে আতঙ্কে রাখা, নির্দোষ মানুষ মেরে ফেলা কখনই গনতন্ত্র নয়।আমাদের বর্তমান এই পরিস্থিতিতে আমি বলবো যেন, ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয় এবং এই পরিস্থিতি থেকে ছাত্রদের সম্পূর্নভাবে আলাদা রাখা হয়।

রোজ কিছু সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে। ছোট ছোট বাচ্চারা মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে। এই ভয়ে বাচ্চারা স্কুল এ যেতে পারছে না। আমাদের দেশ স্বাধীন দেশ। কিন্তু আসলেই কি আমরা স্বাধীন হতে পেরেছি? নিজ দেশে নিজেরাই বন্দী জীবন যাপন করছি। আমার মতে, এই মুহূর্তে সকল শিক্ষক–শিক্ষার্থীদের এক হতে হবে নিজেদের স্বার্থে, নিজেদের শিক্ষার স্বার্থে, নিজ অধিকার আদায়ের স্বার্থে।

ইউরোপ–আমেরিকাতেও ছাত্ররা রাস্তায় নামে। তারা রাস্তায় নামে, মিছিল করে নিজেদের অধিকার আদায় করতে। যেমন শিক্ষা বাজেট, স্কুল-কলেজের কোন নিয়ম সংশোধনে। তাদের প্রতি কোন অন্যায় আচরণ হলে তারা এক হয়ে যায়। আমাদেরও এখন তাই করতে হবে।

এভাবে দিনের পর দিন শিক্ষার পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্থ হলে আমাদের দেশই পিছিয়ে পড়বে। কোন সভ্য দেশে রাজনৈতিক দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব হলেও সেখানে সবসময় শিক্ষাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে পুরোপুরি রাজনীতি মুক্ত রাখা হয়।

যেই ছোট বাচ্চা গুলো মারা যাচ্ছে, আহত হচ্ছে, যেই মানুষ পেট্রোল বোমায় পুড়ে দগ্ধ হচ্ছে, খোঁজ নিলে দেখা যাবে কোন না কোন ভাবে আমাদের আত্মীয়। নিজের রক্তকেই আমরা বিনাশ করে দিচ্ছি।

শাহাবুদ্দিন আহমেদ
প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী
উল্লেখ্য এই প্রবাসী চিত্রশিল্পীর অন্যতম পরিচয় তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ফ্রান্স সরকারের সর্বােচ্চ বেসামরিক পদক 'নাইট' উপাধিপ্রাপ্ত।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন