সন্তানকে কোন বয়সে স্মার্টফোন দেয়া ঠিক?

প্রযুক্তির অগ্রযাত্রায় পিছিয়ে থাকছেনা কেউ। এখন বলা চলে, শিশুরা মায়ের কোল থেকেই স্মার্ট ডিভাইস নাড়াচড়া করছে। এমনকি প্রাথমিক স্কুলে পড়াকালীন অনেক শিশুরাই এখনই নিজস্ব স্মার্টফোন ব্যবহার করছে। কিন্তু নানা কারণে অনেকেই ঠিক কোন বয়সে বাচ্চাদের নিজস্ব স্মার্টফোন বা মোবাইল ব্যবহার করতে দেয়া উচিত সেটা নিয়ে চিন্তিত থাকেন।

প্রযুক্তির একদিকে যেমন ভালো দিক আছে, তেমনিভাবে খারাপ দিকও রয়েছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে অনলাইন থেকে নানা তথ্য জানার বা শেখার পাশাপাশি অনেকেই গেইম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ আবার সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে। তাই ঠিক কোন বয়সে শিশুদেরকে নিজস্ব স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেয়া ঠিক তা জানতে চান অনেকেই।

প্রকৃত অর্থে, স্মার্টফোন ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। সন্তানদের ম্যাচুরিটি বা বেড়ে উঠার উপর নির্ভর করেই পরিবার থেকে সিদ্ধান্ত আসতে পারে। কিছু বাচ্চাদের বুদ্ধি বা জ্ঞান দ্রুত বৃদ্ধি পায়, আবার কেউ কেউ মাধ্যমিকে গিয়েও পর্যাপ্ত ম্যাচুরিটি পায়না। তাই চিন্তা করতে হবে আপনার সন্তানটি স্মার্টফোন ব্যবহারের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের উপযুক্ত হয়েছে কিনা।

সন্তানকে স্মার্টফোন হাতে তুলে দেয়ার আগে কয়েকটি জিনিষ জানা উচিত:

স্মার্টফোনটি কিভাবে ব্যবহার হবে?
আপনার সন্তান স্মার্টফোনটি কিভাবে ব্যবহার করবে তার উপরে এর গুরুত্ব নির্ভর করবে। যদি সে যোগাযোগের জন্য কিংবা অনলাইন থেকে জানার ও শেখার জন্য ব্যবহার করে তাহলে ঠিক আছে। তবে যদি সে অধিকাংশ সময়ই গেইম কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া সাইট নিয়ে পড়ে থাকে তাহলে উপকারের চেয়ে বরং অপকারই হবে।

অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে কতোটা সচেতন?
আপনার সন্তান ইন্টারনেট নিরাপত্তা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে কিভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় সেসব বিষয়ে কতোটা সচেতন সেটি আগে জেনে নিন। তারপর সিদ্ধান্ত নিন তার জন্য স্মার্টফোন কতোটা নিরাপদ।

কতোটা সময় ব্যয় করবে?
আপনার সন্তানের স্মার্টফোন ব্যবহারের উপর তার শারিরিক ও মানসিক বিভিন্ন বিষয় জড়িত রয়েছে। অধিক সময় স্মার্টফোন ব্যবহারে এক্ষেত্রে ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই তার বয়স ও মানসিক বিকাশের উপর নির্ভর করে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেয়া ঠিক।

তবে বিশেষ ক্ষেত্র যেমন, সন্তানের কাছে পিতা-মাতা না থাকলে নিরাপত্তার কারণে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে দেয়া যেতে পারে।

সন্তানের হাতে স্মার্টফোন দিয়েই চিন্তা দূর করবেন না। আপনার সন্তানের অনলাইন নিরাপত্তা ও স্মার্টফোনের ভালো ব্যবহার নিশ্চিত করুন। আপনার সন্তান স্মার্টফোনে কি করছে তার নজরদারি কিংবা নিয়ন্ত্রণ করুন। ফোন এবং ওয়াইফাইয়ের প্যারেন্টাল কন্ট্রোল সেটিং ব্যবহার করে তাদেরকে কিছু সাইট ও অ্যাপস যেগুলো তাদের উপযোগি নয় সেগুলো ব্যবহার থেকে বিরত রাখুন।

রিপ্লাই লিখুন:

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন