১৯৮৭ সালে উত্তর কোরিয়ার পিয়ংগিয়াং এ একটি হোটেল নির্মাণের কাজ শুরু হয় যেটি হত পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু হোটেল।
১৯৮৯ সালে হোটেলটির অবকাঠামো নির্মাণ শেষ হয়। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের ভাঙনের ফলে ১৯৯২ সালে রুঙ্গিয়ং হোটেলের সব ধরণের নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। আর এরপর থেকেই এই ১০৫ তলা এবং ১ হাজার ৮৩ ফুট উঁচু এই ভবনটি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে।
এরপর কিম সুং ক্ষমতায় এলে দেশের পর্যটন খাতকে উন্নত করতে এই হোটেল পুনঃনির্মাণের উদ্যোগ নেন। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক কারণে সেটা আর সম্ভব হয়নি বরং ৭৫০ মিলিয়ন ডলার গচ্চা গিয়েছে। তখন থেকে এই হোটেলের নাম হয়ে গিয়েছে ‘হোটেল অফ ডুম’ বা ‘ধ্বংসের হোটেল’।
তবে রুঙ্গিয়ং হোটেলের আশা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। ওরাসকম নামে একটি মিশরীয় প্রতিষ্ঠান ২০০৮ সালে এই হোটেল নির্মাণ করা শুরু করে আবারও। বিলাসবহুল হোটেল নির্মাণের প্রাথমিক কাজ হিসেবে প্রথমে তারা হোটেলের চারপাশে গ্লাসও লাগায়। কিন্তু সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এই ভবনের অবকাঠামো নির্মাণের সময় এখানে কোন পয়ঃনিষ্কাশনের সংযোগ বা কোন বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়নি। ফলে এটি পুনঃনির্মাণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০০৮ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে জানায়, রুঙ্গিয়ং হোটেলের নির্মাণ কাজ শেষ করতে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন হবে যা উত্তর কোরিয়ার জিডিপির ৭ শতাংশ।