বিশ্বের ক্ষুদ্রতম দেশ সিল্যান্ড। এটি একটি অণুরাষ্ট্র (মাইক্রোনেশন)। এখানকার বাসিন্দারা নিজেদেরকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করলেও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি নেই। দেশটির মোট আয়তন প্রায় ৫৫০ বর্গমিটার।
ইংল্যান্ডের উত্তর সাগরে উপকূল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার সাগরের গভীরে দেশটির অবস্থান। দেশটি সাগরের উপর ভাসমান অবস্থায় আছে। মাটিতে পুতে রাখা দুটি বড় বড় ইস্পাতের পাইপের উপর ভর করছে দেশটি। দেশটিতে কোনও মাটি নেই। এর পুরোটাই ইস্পাতে তৈরি।
দেশটির নিজস্ব রাজধানী রয়েছে যার নাম এইচএম ফোর্ট রগ। দেশটিতে একটিমাত্র ঘর আছে যেটি দেশের রাজপ্রাসাদ। সেখানে দেশটির নিজস্ব পতাকা উড়তে দেখা যায়। রয়েছে নিজস্ব হেলিপ্যাড, সংবিধান, মুদ্রা, পাসপোর্ট, কয়েন ও জাতীয় সংগীত। দেশটির মুদ্রা ‘সিল্যান্ড ডলার’ অবশ্য বাইরের দেশে চলে না। অফিসিয়াল ভাষা ইংরেজি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইংল্যান্ডের উপকূলে কয়েকটি সমুদ্র দুর্গ বানায়। জার্মান সেনাদের আক্রমন ও গতিবিধি পর্যবেক্ষনের জন্য এগুলো তৈরি করা হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য দুর্গগুলো ভেঙে ফেলা হলেও আইনী জটিলতায় এটি ভাঙতে পারেনি। টিকে থাকা মউনশেল সি ফোর্টই এখন সিল্যান্ড।
১৯৬৭ সালের ২রা সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ নাগরিক মেজর প্যাড রয় বেটস এই জায়গাটির স্বত্বাধিকারী হন। পরে তিনি দেশটিকে একটি স্বাধীন মাইক্রো রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা দেন। দেশটির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি না থাকলেও কোনও দেশ এটির বিরোধীতা করেনি। রয় বেটস ও তার স্ত্রী মারা যাওয়ার পর এখন দেশটির রাজা তাদের ছেলে মাইকেল। যদিও তিনি সাফোক (ইংল্যান্ড) এ বসবাস করেন।
তথ্যসূত্র : উইকিপিডিয়া