২০১৪ সালের সেরা প্রাণিকুল

দৌড়ে উসাইন বোল্ট আর সাঁতারে মাইকেল ফেলপস সেরা অ্যাথলেট হলেও অসাধারণ সব অ্যাথলেট প্রাণীদের সাথে এদের কোন তুলনাই হয় না। দ্রুততম দৌড়বিদ, দ্রুততম সাঁতারু, সবচাইতে লম্বা লাফ দেয়া, সবচাইতে গভীরে ডাইভ দেয়া এমন সব প্রাণী নিয়েই এবারের আয়োজন।

দ্রুততম স্কাই ডাইভার
শিকার ধরার সময় পেরেগ্রিন ফ্যালকন পাখি আকাশে ঘণ্টায় ২০০ মাইল গতিতে লাফ দেয় যা অনেক রেসিং গাড়ির গতির চাইতেও বেশি। অ্যালান ইয়ুস্টেস নামক এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ গতিবেগ ৮২২ মাইল অর্জন করেছিলেন। তবে তিনি মাটি থেকে ২৫ কিলোমিটার উঁচু থেকে লাফ দিয়েছিলেন। সেখানে পেরেগ্রিন ফ্যালকন শিকার ধরার সময় মাটি থেকে মাত্র আধা মাইল উঁচুতে থাকে। এই পেরেগ্রিন ফ্যালকন প্রাণিজগতের সবচাইতে দ্রুতগামী প্রাণী।

গভীরতম ডাইভার
Cuvier’s Beaked Whale (এক ধরেণর তিমি)সমুদ্রের পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০ হাজার ফিট গভীরে ডাইভ দিয়ে গবেষকদের চমকে দিয়েছেন যা কিনা নিউইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিঙের প্রায় সাতগুন। সেই সাথে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যে পানির সবচাইতে গভীরে ডাইভ দেয়ার রেকর্ডও করেছে। মানুষের মধ্যে আহমেদ গাবর নামক একজন মিশরীয় ১০৬৬ ফিট গভীর পর্যন্ত ডাইভ দিয়ে রেকর্ড করেছেন। পাখিদের মধ্যে এই রেকর্ড করেছে জেন্টু পেঙ্গুইন। এরা ঘণ্টায় ২২ মাইল গতিতে পানিতে লাফ দিতে পারে।

দ্রুততম দৌড়বিদ
ডাঙার প্রাণীদের মধ্যে সবচাইতে দ্রুত প্রাণীর রেকর্ডটি হচ্ছে চিতাবাঘের। এরা ঘণ্টায় ৬১ মাইল গতিবেগেও দৌড়াতে পারে। মানুষের মধ্যে দ্রুততম ব্যক্তি হচ্ছে জ্যামাইকান দৌড়বিদ উসাইন বোল্ট। তিনি ঘণ্টায় ২৭.৪৯ মাইল গতিবেগের রেকর্ড করেছেন। দৌড়ানোর সময় অলিম্পিক অ্যাথলেটরা সেকেন্ডে সর্বোচ্চ দুইটি পদক্ষেপ ফেলতে পারে। সেখানে চিতা সেকেন্ডে পদক্ষেপ ফেলতে পারে তিনটি।

দ্রুততম সাঁতারু
সেইলফিশ ঘণ্টায় ৬৮ মাইল পর্যন্ত গতিবেগ অর্জন করতে পারে যা কিনা পৃথিবীর দ্রুততম পালতোলা নৌকার প্রায় সমান। অলিম্পিকে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত মাইকেল ফেলপস তার ১০০ মিটার বাটারফ্লাই স্ট্রোকে ঘণ্টায় ৪.৪ মাইল গতিবেগ অর্জন করেছেন যা কিনা মানুষের মধ্যে সর্বোচ্চ।

সবচাইতে লম্বা জাম্পার
সবচাইতে লম্বা জাম্প বা লাফ দেয়ার রেকর্ডটি করেছে স্নো লেপার্ড। এটি ৪৯ ফিট পর্যন্ত লাফ দিতে পারে যা কিনা একটি সাধারণ স্কুল বাসের দৈর্ঘ্যের প্রায় সমান। মানুষের মধ্যে ২৯ ফিট লম্বা লাফ দিয়ে লংজাম্পের রেকর্ড গড়েছেন মাইক পাওয়েল।

সেরা যোদ্ধা
একটা বন্য সজারু আর একটি হাতি দুজনেই ১৩টি সিংহের সাথে যুদ্ধ করে এ বছর খবরের শিরোনাম হয়েছে। ইএসপিএনের জরিপে সর্বকালের সেরা বক্সার বা মুষ্টিযোদ্ধা হচ্ছেন সুগার রে রবিনসন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন