সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট নতুন মাইলফলক অর্জন করেছে। কয়েক বছর পর গুগলকে পিছনে ফেলে বিশ্বের তৃতীয় দামি কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। কোম্পানির বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৭৬০ বিলিয়ন, যা গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের চেয়ে প্রায় ১৫ বিলিয়ন ডলার বেশি।
আইিট কোম্পানি হিসেবে এই দুই কোম্পানিই সবচেয়ে দামি কোম্পানি হিসেবে এবারই প্রথম নয়। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে অ্যাপল ও অ্যামাজন।
তবে কী কারণে অ্যালফাবেটের চেয়ে বেশি দামি কোম্পানি হলো মাইক্রোসফট? চলুন জেনে নিই।
১. ক্লাউড
ক্লাউড সেবা আকর্ষণীয় ব্যবসা না হলেও মাইক্রোসফট এটিকে কতোটা গুরুত্ব দিয়েছে তা বোঝা যায়। কয়েক বছর ধরে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিসের প্রতিদ্বন্দি হয়ে এগিয়ে যাচ্ছে মাইক্রোসফটের ক্লাউড সেবা অ্যাজিউর। বিশেষ করে প্রধান নির্বাহী হিসেবে সত্য নাদের নেতৃত্বে আসার পর এই সেবার গ্রাহক ও আয় উভয়ই বেড়েছে ধারাবাহিকভাবে।
২. সাবস্ক্রিপশন
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো মাইক্রোসফটের সফটওয়্যার ও সেবায় সাবস্ক্রিপশন-নির্ভর ব্যবসায় মডেল। একসময় মাইক্রোসফটের অফিস প্রোগ্রাম কিনতে একবারে অনেক টাকা ঢালতে হতো। এখন গ্রাহক ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিমাসে এর ফি পরিশোধ করতে পারেন। যা কোম্পানিকে বড় ধরণের সফলতা এনে দিয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত তথ্য মতে, অফিস ৩৬৫ এর গ্রাহক সংখ্যা ৩০ দশমিক ৬ মিলিয়ন ও প্রতিমাসে সক্রিয় ব্যবসায় গ্রাহকের সংখ্যা ১৩৫ মিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
শুধু অফিস প্রোগ্রামই নয়, এক্সবক্সসহ অন্যান্য সফটওয়্যার ও সেবায় একই ধরণের সফলতা লক্ষ্য করা গেছে।
৩. ভবিষৎ
অন্য তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান যেখাতে আগামীকালকে লক্ষ্য করে, মাইক্রোসফট সেখানে পরশুদিন লক্ষ্য করে এগিয়ে যায়। উদাহরণ হিসেবে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ও ইন্টারনেট অব থিংকের কথা বলা যেতে পারে। এই খাতে কোম্পানিটি বড় ধরণের বিনিয়োগ করেছে, যা আগামীতে অভাবনীয় সাফল্য এনে দেবে। ইতিমধ্যেই এন্টারপ্রাইজ লেভেলে বেশ সফলতাও পেয়েছে মাইক্রোসফট। আর এভাবেই এগিয়ে থেকে দামি কোম্পানি হিসেবে বাজারে ঠাই নেয় সফটওয়্যার জায়ান্টটি।