গত বছরের ঘটনা। ইংল্যান্ডে একটি বাগানের মালি রহস্যজনকভাবে মারা যান। তার শরীরের অনেকগুলো অঙ্গ একসঙ্গে অকেজো হয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু ঠিক কারণে তা ঘটেছিল তা অজানাই রয়ে গিয়েছে। ধারণা করা হয়, একটি ফুলগাছের কারণে তার এই মৃত্যু ঘটে।
যে গাছটিকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তার নাম অ্যাকোনিটাম। তবে উলফস বেন, শয়তানের মাথা বা বিষের রাণী হিসেবেও এই গাছের কুখ্যাতি রয়েছে। এটি পৃথিবীর রাণঘাতী উদ্ভিদগুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই উদ্ভিদের সবচেয়ে বিষাক্ত অংশ হচ্ছে এর শিকড়। পাতার মধ্যেও বিষ ছড়িয়ে থাকে। এসব অংশে নিউরোটক্সিন থাকে যা আমাদের ত্বক শুষে নেয়। শুরুতে শরীরে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয় এবং শরীর অসাড় হয়ে পড়তে থাকে এবং খেয়ে ফেললে বমি এবং ডায়রিয়া শুরু হয়।
২০১০ সালে এক ভারতীয় ব্যক্তি এই গাছ ব্যবহার করে তার স্ত্রীকে হত্যা করেন। তবে বিষাক্ত উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ জন রবার্টসন বলেন, এই উদ্ভিদ খেয়ে বেঁচে যাওয়ার ঘটনাও তিনি দেখেছেন।
হগউইড, মাঞ্চিনিল নামের এরকম আরও কিছু উদ্ভিদ রয়েছে যেগুলো ত্বকের সংস্পর্শে আসলে এবং সেগুলোর উপর সূর্যের আলো পড়লে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয় শরীরে। তবে গায়ে লাগলে তাতে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কিন্তু গাছের কোন অংশ খেয়ে ফেললে তা মৃত্যুঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
ক্যাস্টর ওয়েল প্লান্ট নামে আরেকটি উদ্ভিদ রয়েছে যা বিষাক্ত উদ্ভিদগুলোর মধ্যে উল্লেখযােগ্য। এর বৈজ্ঞানিক নাম রাইসিনাস বা রাইসিন।
এই উদ্ভিদের বিষের উল্লেখ অনেক জায়গাতেই পাওয়া যায়। রোজারি পি নামক আরেকটি উদ্ভিদের আরবিন নামক বিষও সমান ভয়ংকর।
তবে ভালো খবর হচ্ছে আজকালকার দিনে এসব বিষাক্ত গাছ খুব কমই দেখা যায়। উত্তর আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান কিছু অঞ্চল ছাড়া অ্যাকোটিনাম উদ্ভিদ আর তেমন কোথাও দেখা যায় না।