ফোর জি (4-G) স্মার্টফোন বাজারে আসার মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় ওয়্যারলেস ইন্ডাস্ট্রি জানালো যে তারা এরই মধ্যে ফাইভ জি (5-G) নিয়ে পরিকল্পনা করছে। স্মার্টফোন নির্মাতা এবং টেলিকম কোম্পানিগুলো একত্রে এই কাজে অংশ নিয়েছে।
যে হারে দিন দিন মানুষের জীবনে ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়ছে এবং তা আরও বেশি পরিমাণ ডাটা খরচ করছে তাতে ফোর জি-র চৌকাঠ ডিঙিয়ে ফাইভ জি-র চাহিদা বাড়তে আর খুব বেশি দেরি নেই।
কিন্তু এই ফাইভ জি আসলে কী সে ব্যাপারটাই এখনো মানুষের কাছে ধোঁয়াশাপূর্ণ। তবে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের ক্রমাগত উন্নতির ফলে অনেক কিছুই এখন পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।
ফাইভ-জি কী?
‘জি’ বলতে বুঝায় জেনারেশন বা প্রজন্ম। অর্থাৎ ফাইভ-জি মানে হচ্ছে ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক প্রযুক্তির পঞ্চম জেনারেশন।
তবে ফাইভ-জির মানদণ্ড কী হবে অর্থাৎ কোন নেটওয়ার্ক এবং ডিভাইসগুলোকে ফাইভ-জি বলা যাবে সে ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয় নি।
অ্যাটিএনটি কোম্পানির প্রেসিডেন্ট বিল স্মিথ জানান, ফাইভ-জি কী তা ব্যাখ্যা করা যাবে ২০১৮ সাল নাগাদ আর ২০১৯ সালে জানা যাবে এর মানদণ্ডগুলো। তবে স্বাভাবিকভাবেই ধরে নেয়া যাচ্ছে ফাইভ-জি হবে ফোর-জির চাইতে দ্রুততর, আধুনিক এবং কম ব্যাটারি খরচকারী।
কত দ্রুত হবে ফাইভ-জি
গবেষণাগারের পরীক্ষা বলছে ফাইভ-জি হবে ফোর-জির চাইতে ৪০ গুন বেশি দ্রুত। এটি এইট-কে (8-k) রেজ্যুলেশনের ভিডিও বাফারিং ছাড়া চালাতে সক্ষম হবে। তবে বাস্তবে এর সাথে ঠিক কতটা মিল থাকবে তা বলা যাচ্ছেনা।
অবশ্য নোকিয়া বলছে ফাইভ-জির গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবিট যা ফোর-জির চাইতে ৪ গুন দ্রুত। একই সঙ্গে নির্দেশনা অনুযায়ী আরও দ্রুত কাজ করতে সক্ষম হবে ফাইভ-জি।
কবে আসবে ফাইভ-জি
২০১৮ সালের কোরিয়ার শীতকালীন অলিম্পিকে পরীক্ষামূলকভাবে ফাইভ-জি চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ২০২০ সাল নাগাদ এটি বাজারে আসতে পারে। তবে ভেরিজোন বলছে তারা ২০১৭ সালের মধ্যেই ফাইভ-জি বাজারে আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।