চীনে প্রতি বছর লাখ লাখ মানুষ তাদের পরিবারের সাথে নতুন বছর উদযাপনের জন্য বহু পথ পাড়ি দেয়। বছরের এই সময়টাতে চীনে এতো মানুষ ভ্রমণ করে যে এটাকে পৃথিবীর সবচাইতে বড় বার্ষিক মনুষ্য ভ্রমণ বলে আখ্যা দেয়া হয়।
এ বছর ভ্রমণের সময়সীমা হচ্ছে ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ থেকে মার্চের ১৬ পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে ২.৮ বিলিয়ন ভ্রমণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ‘বাইদু’ নামক চীনের একটি সার্চ ইঞ্জিন এই ভ্রমণের সম্ভাব্য রাস্তাগুলো বের করেছে।
পাশ্চাত্যের বেশিরভাগ দেশই তাদের বছর গণনার জন্য গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার ব্যবহার করে। এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চীনের নতুন বছর বিভিন্ন দিনে শুরু হয় যেমন: জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারিতে।
এবারের চীনের নববর্ষ শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারির ১৯ তারিখ থেকে। চাইনিজরা একে ‘ইয়ার অফ দ্য শিপ’ বলে ডাকে।
আমাদের মত চাইনিজরাও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে তাদের নতুন বছরকে স্বাগত জানায়। সিংহনাচ, লাল লণ্ঠন, পটকা, আতশবাজি, লাল কাপড় আর বিভিন্ন রকমের খাবার থাকে তাদের এ উৎসব উৎযাপনে। লাল খামে করে বাচ্চাদের টাকাও দেয়া হয় এ বর্ষবরণ উৎসবে।
চাইনিজরা তাদের নতুন বছরকে একটি প্রাণীর নামে নামকরণ করে থাকে। নির্দিষ্ট ১২টি প্রাণীর নাম ঘুরেফিরে রাখা হয় একেক বছর। এবছর নতুন বছরের নাম রাখা হয়েছে ভেড়ার নামে অর্থাৎ ‘ইয়ার অফ দ্য শিপ’। বাকি ১১টি প্রাণী হচ্ছে: ইঁদুর, ষাঁড়, বাঘ, খরগোশ, ড্রাগন, সাপ, ঘোড়া, বানর, মোরগ, কুকুর এবং ভল্লুক।