ক্রিকেট নিয়ে ভক্তদের মাঝে উন্মাদনার শেষ থাকে না। যার যার প্রিয় দল বা খেলোয়াড় নিয়ে তর্ক-বিতর্ক লেগেই থাকে। এই তর্ক-বিতর্কের মাঝে চলুন আমরা জেনে নিই ক্রিকেট সম্পর্কীয় কিছু মজার সাধারণ তথ্য।
শোয়েব আখতার, মিচেল জনসন কিংবা ডেইল স্টেইন…
এক একজনের চেয়ে এক একজন বড় মাপের গতি দানব। বেশিরভাগ সময় ঘন্টায় ৯৫/৯৭ মাইল বেগে বল করে থাকেন এই দানবেরা। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ দেখা যায় দানবীয় গতির বোলারগুলো ঘন্টায় ৭০/৭২ মাইল বেগের বল করে থাকেন। খুবই স্লো গতির এ বলগুলো খেলতে পাকা ব্যাটসম্যানরাও ব্যর্থ হয়ে যান।
মূলত ব্যাটসম্যানদের দ্বিধাদ্বন্দ্বে ফেলে দেয়ার কৌশল এটি।
উইকেটে সেট কোনো ব্যাটসম্যানকে আউট করার সবচেয়ে সহজ কৌশল এটি। দেখা যায়, অনেকক্ষণ ধরে ক্রিজে থাকা কোনো ব্যাটসম্যান এক ধাঁচের বল খেলতে খেলতে মাইন্ডসেট ঐরকম করে তৈরী করে নেয়। তখন কোনো রেগুলার ফাস্ট বোলার যদি স্লো বল ডেলিভারি করে, ব্যাটসম্যানের জন্যে তা খেলা মুশকিল হয়ে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই টাইমিং মিলানো কঠিন হয়ে পড়ে, তখন দেখা যায় ব্যাটের কোনায় লেগে বল উইকেটকিপার কিংবা স্লিপে ক্যাচ হিসেবে উঠে যায়।
স্লো বোলের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সফলতা আসে স্লো-বাউন্সারে। খুব কম সময় ই দেখা যায়, ব্যাটসম্যান স্লো-বাউন্সার বল খেলার চেষ্টা করেছেন, আর আউট হন নি !
আর স্পিন বলের ক্ষেত্রে হঠাৎ করেই দেখা যায় বলের গতি বাড়িয়ে বল করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ঐ বলগুলো সুইং করে না। তারপরও ব্যাটসম্যান ঐরকম বলগুলো মোকাবেলা করতে অসমর্থ হন। সবচেয়ে দ্রুতগতির স্পিন বল করে রেকর্ড দখলে রেখেছেন পাকিস্তানের শহীদ আফ্রিদি।
কোর্টনি ওয়ালস, ক্রিস কেয়ারনস ছিলেন বিখ্যাত স্লো-সীমার। আর বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার জেমস ফকনার স্লো-বোলিং এ এই মরণঘাতি ভূমিকায় আছেন।
আবার কয়েকজন বোলার মিডিয়াম-ফাস্ট বোলিং করেন। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ তারা অনেক গতির বল করে থাকেন যেমন শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস।
মোটামুটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বেশিরভাগ প্লেয়ার-ই কম বেশি দক্ষতার সাথে বলের গতির বৈচিত্রতা নিয়ে আসেন।