বাইরে যদি খুব বৃষ্টি হয়, আমরা রেইন কোট পরে বাইরে যায়। আবার যদি অনেক গরম হয়, রোদের তাপ যদি বেশি হয়, তাহলে আমরা ছাতা নিয়ে বের হয়। অর্থাৎ বাইরের অবস্থা যেরকম হবে, আমাদের চলাফেরাও সেরকমই হবে।
তেমনি কোনো কোনো ধাতু আছে যারা স্থানভেদে সব অবস্থায় থাকতে পারে না। লোহা এর মধ্যে অন্যতম একটি ধাতু। স্বাভাবিক অবস্থায় খোলা স্থানে লোহা রাখা সম্ভব হয় না। কারণ খোলা স্থানে রাখলে লোহায় মরিচা ধরার সম্ভাবনা প্রবল থাকে। আর লোহায় মরিচা ধরার মানে হচ্ছে লোহার আয়ু একেবারে কমে যাওয়া। এ সমস্যার অনেক রকমের সমাধান রয়েছে। তার মধ্যে গ্যালভানাইজিং ( Galvanizing ) একটি।
ইতালিয়ান বিজ্ঞানী লুইজি গ্যালভানির নাম অনুসারে এ পদ্ধতির নামকরণ করা হয়েছে। ১৭ শতকের শুরুর দিকে রয়েল আরমোরিস মিউজিয়ামে কিছু ভারতীয় যুদ্ধাস্ত্র প্রথম গ্যালভানাইজিং প্রক্রিয়ার জন্য পরীক্ষা চালানো হয়।
গ্যালভানাইজিং প্রক্রিয়ায় ধাতব লোহার উপর তরল/ গলিত ( Molted ) জিঙ্ক ( Zn) বা দস্তার ( Copper) আবরণ দেয়া হয়।
গ্যালভানাইজিং এর ফলাফল দুই রকমের হয়ে থাকেঃ
১. গ্যালভানাইজিং দ্বারা উক্ত লোহার ধাতুর চারপাশে একটি ক্ষয়রোধী দস্তার আবরণ সৃষ্টি হয়, যা ক্ষয়কারী উপাদানগুলোকে লোহা পর্যন্ত পৌঁছাতে বাধা দান করে।
২. জিঙ্ক বা দস্তার ভূমিকা একটু বেশীই থাকে। কেননা অক্সিজেন এবং জলীয় বাষ্প অনেকক্ষণ বিক্রিয়ার পর হয়তো সামান্য পরিমাণ জিঙ্কের আবরণ ক্ষয় করতে পারে। তবে বেশিরভাগ পরিমাণ জিঙ্কই তখনো লোহার দন্ডটিকে নিরাপদ রেখে যায়।
গ্যালভানাইজিং প্রক্রিয়ায় সৃষ্ট দস্তার আবরণ লোহার জন্যে এক প্রকার পোশাকই বলা চলে !
এতে করে বাতাসের অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্প ধাতুটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে না। ফলে ধাতব লোহাটি সুরক্ষিত থেকে যায়।