শুরু হতে যাচ্ছে ২০১৫ ICC ক্রিকেট বিশ্বকাপের একাদশ আসর। ১৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ২৯ মার্চ পর্যন্ত ৪৯টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। ১৯৯২ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো দেশ দু’টি ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজন করতে যাচ্ছে। ক্রিকেট বিশ্বকাপ নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষের মাঝে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। কোন দল কেমন খেলবে, কোন দল বিশ্বকাপ জিতবে এসব নিয়ে তর্ক-বিতর্ক চলছেই। প্রিয় দলের প্রিয় খেলোয়াড়দের স্কোর, স্ট্যাটিসটিকস( Statistics) সবার জানা, কিন্তু খেলা সম্পর্কে অনেক সাধারণ জ্ঞান অনেকেরই জানা নেই। আজ আমরা আলোচনা করবো খেলা সম্প্রচারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, Broadcasting Delay বা সম্প্রচার বিলম্ব নিয়ে।
যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ খেলা বা অনুষ্ঠান আমরা টিভিতে সরাসরি দেখতে পাই। টিভির পর্দার কোণায় “Live” লেখাটি দেখে বোঝা যায় যে অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। খেলার মাঠে টিভি ক্যামেরা খেলা ধারণ করে আর টিভিতে তা সরাসরি সম্প্রচারিত হয়। কিন্তু এই সরাসরি সম্প্রচারের মধ্যেও বেশ খানিকক্ষণের বিলম্ব থাকে, সাধারণত এই বিলম্ব ৭ সেকেন্ডের হয়ে থাকে। আর একেই Broadcasting Delay বা সম্প্রচার বিলম্ব বলে।
খেলা চলাকালীন সময়ে বিভিন্ন ঘটনা ঘটতে পারে যেগুলো হয়তো টিভিতে সম্প্রচারের উপযোগী নয়। খেলার মাঠে খেলোয়াড়দের অশোভনীয় আচরণ তো হরহামেশাই ঘটে। এছাড়াও যন্ত্রপাতির সমস্যা, বা ধারাভাষ্যকারের অনুপযোগী মন্তব্য ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটা খুবই স্বাভাবিক। এসকল ঘটনার সম্প্রচার এড়ানোর জন্যই ৭ সেকেন্ডের বিলম্ব রাখা হয় যাতে যদি এমন কোন ঘটনা ঘটে, তবে তা আগেই সম্প্রচার না করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়।
সরাসরি সম্প্রচার বিলম্ব ছাড়াও ভিন্ন Time Zone-এর কারণেও অনেক সময় সম্প্রচারে বিলম্ব ঘটে। এই ধরণের ঘটনাকে Time Shifting বলে আর Time Shifting-এর ফলে ঘটা বিলম্বকে Time Delay বলা হয়। Time Shifting ব্যতীত খেলা ধারণের সময় ভিডিও ক্যামেরা অতি উন্নত মানের না হলে সম্প্রচারে বিলম্ব ঘটতে পারে। অবশ্য ৮০-র দশকের পর এ ধরণের ঘটনা আর ঘটেনি এবং ঘটার সম্ভাবনাও নেই। কারণ এখনকার সব টিভি ক্যামেরাই অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে তৈরি এবং খেলা ধারণের সময় Broadcasting Delay ছাড়া সম্প্রচারে আর কোন বিলম্ব ঘটার কারণ নেই।