দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও যখন মন শান্ত হয় না, সেখানে মাত্র এক মিনিটেই মন শান্ত হবে শুনলে অবাকই মনে হতে পারে। তবে গবেষকরা বলছেন, শুধু সাময়িকভাবেই নয় এটি আপনার মনকে দীর্ঘস্থায়ীভাবে শান্ত করে।
কর্মব্যস্ত জীবনে আমরা প্রতিদিনই হাফিয়ে উঠি। তারপরেও এই দৈনন্দিন ব্যস্ততার মাঝে একটু ভালোভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী, ক্ষণস্থায়ী ও দীর্ঘস্থায়ী উভয়ভাবেই।
সাধারণ শ্বাস-প্রশ্বাসের এই কৌশল মেনে চলা যেমন কার্যকরী, তেমনই শেখা খুবই সহজ। ‘সুসঙ্গত শ্বাসক্রিয়া’ নামের এই কৌশলটির উদ্ভাবন করেছে লাইফ সায়েন্টিস্ট এবং দ্য নিউ সায়েন্স অব ব্রেথ এর লেখক স্টিফেন ইলিয়ট।
ইলিয়ট এর আগে চীন, কাশ্মির ও ভারতে বিভিন্ন ধরণের ইয়োগা করেছেন যা তাকে এই নতুন কৌশলটির উন্নয়নে আগ্রহী করে তোলে।
এই কৌশলের মধ্যে রয়েছে- আপনার শ্বাসগ্রহণ ও শ্বাসত্যাগ করার ক্ষেত্রে আরও মনোযোগি হওয়া এবং প্রতি মিনিটে মোটামুটি ৫ বার শ্বাসগ্রহণ ও শ্বাসত্যাগ করা। এটির মাধ্যমে সুস্থ্য থাকার বড় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে জানান ইলিয়ট।
তিনি বলেন, আমরা যখন সঠিকভাবে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারি তখন শারিরিক ও মানসিকভাবে আমরা সুস্থ বোধ করি না। সুসঙ্গত শ্বাসক্রিয়ার মাধ্যমে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় ও মস্তিস্কের চাপ কমিয়ে সুস্থ রাখে।
এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে সুবিধা হলো- আপনি যেখানেই থাকেন না কেনো, বসে অথবা দাড়িয়ে কিংবা গাড়ি অথবা পার্কে সেখানেই সুসঙ্গত শ্বাসক্রিয়া নিতে পারবেন। আপনাকে মনোযোগি হয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিতে হবে এবং আস্তে আস্তে শ্বাসত্যাগ করতে হবে। প্রতিদিন এটি করতে আপনার ভয় এবং ক্লান্তি কমে যাবে।
গভীর শ্বাস মস্তিস্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় এবং প্যারাসিমপ্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে, যা আমাদের শান্ত থাকতে সহায়তা করে।