ঘুষ-দুর্নীতির অভিযোগ ও হয়রানি বন্ধে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি কার্যক্রম স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অনলাইনে করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ লক্ষে সফটওয়্যার ও নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নতুন পদ্ধতি চালু হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মেই চলবে শিক্ষক বদলি কার্যক্রম।
প্রস্তাবিত নীতিমালায় বদলির জন্য কমপক্ষে তিন বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। শূন্য থাকা আসনে মোট তিনটি বিদ্যালয়ে বদলির জন্য আবেদন করা যাবে। জেলা সদর ও সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত স্বামী-স্ত্রীর কর্মস্থলে বদলি হওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে এ সুবিধা চাকরিকালীন সময়ে একবার গ্রহণ করা যাবে।
উপজেলা/সিটি কর্পোরেশনের বাইরে থেকে সর্বাধিক ২০ শতাংশ শূন্য পদে সংশ্লিষ্ট স্থানে বদলি হওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে তার উপজেলাধীন বিদ্যালয়ের বাইরে থেকে বদলিকৃত শিক্ষকদের হালনাগাদ তালিকা রেজিস্টারে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে। তবে বৈবাহিক কারণে বদলির ক্ষেত্রে এ শর্ত প্রযোজ্য হবে না।
নতুন নিয়োগ পাওয়া শিক্ষকদের উপজেলার তফসিলভুক্ত দুর্গম এলাকার স্কুলে কমপক্ষে ছয় মাস চাকরি করতে হবে। এসব এলাকায় চাকরির অভিজ্ঞদের বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তবে রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি এবং বান্দরবান জেলার জন্য এটি প্রযোজ্য হবে না বলে নীতিমালায় প্রস্তাব করা হয়েছে।