চলে এসেছে বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮। ৩২টি দেশের মধ্যে মোট ৬৪টি ম্যাচ হবে বিশ্বকাপ। এজন্য প্রস্তুত ১২টি স্টেডিয়াম। যার মধ্যে ৩টি পুরনো স্টেডিয়ামের আমূল সংস্কার করা হয়েছে। আর বাকি ৯টি স্টেডিয়াম একেবারে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। চলুন আজ জেনে নিই সামারা অ্যারেনা স্টেডিয়াম সম্পর্কে।
রাজধানী মস্কো থেকে ৬৫৫ মাইল দূরে ইউরোপিয়ান রাশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় অংশে এর অবস্থান। স্টেডিয়ামটির দর্শক ধারণ ক্ষমতা ৪৪ হাজার ৯১৮ জন। ভলগা ও সামারা নদীর পাশে অবস্থিত রাশিয়ার ৬ষ্ঠ বৃহত্তম শহর সামারা। ২০০৭ সালে ইউরোপিয় ইউনিয়নের সম্মেলন এখানে অনুষ্ঠিত হওয়ায় বিশ্বব্যাপী এই শহরটি বেশ পরিচিতি লাভ করে। মূলত রাজনেতিক, অর্থনেতিক, শিল্প এবং সংস্কৃতির প্রাণ কেন্দ্র রাশানদের শহর সামারা। ইউরোপের পর্যটকদের কাছে সামারা শহরটি বেশ জনপ্রিয়।
সামারা অ্যারেনা স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপ শেষে কসমস অ্যারেনা নামে পরিচিত হবে। কিলিয়া সোভেতভ ক্লাবের পুরাতন ঘরের মাঠ বদলে ২০১৩ সাল থেকে নির্মাণ শুরু হওয়া নতুন এই মাঠে ২০১৮ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৭ সালের আগস্টে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কাজ শেষ হওয়া বিলম্বিত হওয়ার আশঙ্কা করা হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হয়েছে।
ভিন্নধর্মী স্টেডিয়াম এই সামারা অ্যারেনা। মাঠে বসেই যদি মহাকাশযানের স্বাদ নিতে হয়, তবে এ স্টেডিয়ামই একমাত্র মাধ্যম। মহাকাশে রাশিয়ানদের আধিপত্যের প্রমাণ রাখতেই এ স্টেডিয়ামটিকে মহাকাশ যানসদৃশ করে তৈরি করা হয়ছে।
স্টেডিয়ামটি নির্মাণের আগে বেশ বিতর্ক হয়েছিল। শুরুতে রাশিয়ার দক্ষিণের মরু অঞ্চলে নির্মাণ করার কথা থাকলেও পরে সরিয়ে নতুন করে তৈরি করা হয় সামারা শহরের উত্তর প্রান্তে। গম্বুজ আকৃতির, ধাতব চেহারার স্টেডিয়ামটিকে হঠাৎ দেখায় যে কেউ ভিনগ্রহের কোনো মহাকাশযান মনে করে বসতে পারেন।
সামারায় রাশিয়ার মহাশূন্য গবেষণা কেন্দ্র অবস্থিত। তাই মহাশূন্যযানের মতো করেই তৈরি করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি।
মহাকাশ গবেষণার জন্য বিখ্যাত সামারা শহরের এই স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপ পর্বে কোস্টারিকা বনাম সার্বিয়া, ডেনমার্ক বনাম অস্ট্রেলিয়া, উরুগুয়ে বনাম রাশিয়া এবং সেনেগাল বনাম কলম্বিয়া এবং নক-আউট পর্বে রাউন্ড অব সিক্সটিন এবং কোয়ার্টার ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে।