যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প বিখ্যাত ছিলেন তার আবাসন ব্যবসার জন্য। ট্রাম্প নামটি বিশ্বব্যাপী ভূসম্পত্তির সাথে জড়িত। অনেকেই বলে থাকেন ট্রাম্পের হোটেলের সংখ্যা শতাধিক। বস্তুত তার হোটেলের সংখ্যা ততোটা নয়!
ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের ওয়েবসাইটে মাত্র ১১টি হোটেলের তালিকা উল্লেখ আছে। ট্রাম্প যেখানকার অধিবাসী সেখানে রয়েছে ফ্ল্যাগশিপ হোটেল, দ্য ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল এবং টাওয়ার নিউ ইয়র্ক। যুক্তরাষ্ট্রে অন্যান্য হোটেলগুলো রয়েছে শিকাগো, মিয়ামি, উইকিকি, ওয়াশিংটন ডিসি, লাস ভেগাস ও ভার্জিনিয়াতে।
আন্তর্জাতিকভাবে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের স্কটল্যান্ডে দুইটি, আয়ারল্যান্ডে একটি হোটেল রয়েছে। সম্প্রতি তৈরি করা হয়েছে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল এবং টাওয়ার ভ্যানকুভার।
ট্রাম্প অন্যান্য চেইন হোটেল যেমন হিল্টন বা ম্যারিয়টের মতো হোটেল তৈরি না করে বরং আলাদাভাবে ও ব্র্যান্ড নামে তৈরি করেন। মূলত অভিজাত হোটেল তৈরি করাই তার উদ্দেশ্য।
বিশ্বব্যাপী ট্রাম্প নামে আরও হোটেলের নাম জানেন তাইতো? উত্তরটি হ্যাঁ হবে। তবে ট্রাম্প নাম থাকলেই যে সেটি ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের তা কিন্তু নয়। দ্য রিয়েল ডিলের মতে, ট্রাম্প তৈরি করেন নি এবং তার মালিকানা নেই এমন হোটেলও ট্রাম্পের নামে রয়েছে, যেমন- ম্যানহাটানের ট্রাম্প সোহো এবং দুবাইয়ের ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ার।
ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, ট্রাম্প কমপক্ষে ৫০ বার তার নামের লাইসেন্স করেছেন, এগুলোর সবাই আবাসন সম্পত্তির নয়। পোশাক, হোম লাইটিং এমনকি ম্যাট্রেসের নামও ট্রাম্প নামে লাইসেন্স করা হয়। আর এই নাম ব্যবহারের অনুমতি দিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প লাখ লাখ ডলার আয় করেছেন।
ট্রাম্পের নামে আজারবাইজানে একটি বিল্ডিং প্রজেক্ট শুরু হলেও শেষ হয়নি, তারপরেও সেটি থেকে আয় করেছেন। টরোন্টোতে ট্রাম্প হোটেল থাকলেও সেখানে শুধুমাত্র তার নাম ব্যবহার হয়েছে। ট্রাম্পের নামে অভিজাত গলফ মাঠ ও ইন্দোনেশিয়াতে রিসোর্টও রয়েছে।