আইইএলটিএস বৃত্তিপ্রাপ্তদের পুরস্কার বিতরণ

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে নিজস্ব মিলনায়তনে ‘আইইএলটিএস বৃত্তি ২০১৮’- এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। লিখিত পরীক্ষা, সরাসরি প্রেজেন্টেশন ও সাক্ষাৎকারের কঠোর নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাচাইয়ের মাধ্যমে বিজয়ীদের নির্বাচন করা হয়। এ বছর বৃত্তির জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে আইইএলটিএস দেয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩শ’ শিক্ষার্থী আবেদন করে।

এ বছর প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ কাউন্সিল দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদেরও এ বৃত্তি প্রদান করে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষাগ্রহণে আগ্রহী প্রত্যেক বিজয়ীকে তিন লাখ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করে এবং দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী চারজন বিজয়ীর প্রত্যেককে দেড় লাখ টাকা করে বৃত্তি প্রদান করে। দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন মো. আশফাক উজ জামান খান ধ্রুব, নওশা ফারহা ও নাসিব আল হাসিব এবং দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষাগ্রহণে বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন নম্রতা সরকার, অতসী অনিন্দিতা, আসিফ সিদ্দিক তরফদার এবং রিনিতা ইসলাম।

বিজয়ীদের সাফল্য উদযাপনে অনুষ্ঠানে আইইএলটিএস রেজিস্ট্রেশন সেন্টারের (আইআরসিএস ঢাকা) সকল প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বর্তমান ‘আইইএলটিএস মার্কেট ল্যান্ডস্কেপ’ সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয় এবং বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষায় আইইএলটিএস’র গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও এর অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহ একসাথে কীভাবে কাজ করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এছাড়াও, অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের আইইএলটিএস অংশীদার প্রতিষ্ঠানসমূহকে ‘বেস্ট পারফর্মিং আইআরসি অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘অ্যাসোসিয়েট অ্যাপ্রিসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়’।

বিশ্বজুড়ে কিভাবে আইইএলটিএস টেস্ট কাজ করে এবং সে তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান কোথায় তা নিয়ে অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর এক্সামিনেশনস বাংলাদেশ সেবাস্তিয়ান পিয়ার্স আলোচনা করেন। তিনি বিশ্বজুড়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আইইএলটিএস’র তাৎপর্য তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে এ টেস্ট কিভাবে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেন।

এরপর ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের হেড অব বিজনেস ডেভলপমেন্ট সারওয়াত রেজা অতিথিদের ধারণা দেন কিভাবে আইইএলটিএস’র মাধ্যমে দক্ষতা অর্জন করা যায়। একজন ব্যক্তির জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে আইইএলটিএস কিভাবে সহায়তা করতে পারে এবং কিভাবে এ টেস্ট বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ভবিষ্যৎ স্নাতকদের মূল্যায়নে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে তিনি আলোচনা করেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন