SNICKOMETER

বিশ্বকাপ শুরু হতে এখন আর মাত্র কয়েক প্রহর বাকি। ক্রিকেট নিয়ে মাতামাতি শুরু হয়ে গেছে এখনি। আমরা অনেকেই ক্রিকেট খেলা শুধু দেখি, কিন্তু এর অনেক কিছুই বুঝি না। যেমন “Snickometer” এর ব্যাপারটি।

ক্রিকেটে প্রযুক্তির ব্যাবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। তেমনি বেড়ে চলেছে অত্যাধুনিক যন্ত্রের ব্যবহারও।  তেমনি একটি Snickometer আধুনিক সংযোজন।

Snickometer বা স্নিকোমিটার হলো একটি খুবই সংবেদনশীল মাইক্রোফোন, যা কোনো একটি স্ট্যাম্পে সেট করা থাকে।

স্নিকোমিটার প্রথম আবিষ্কার করেন ইংলিশ কমপিউটার বিজ্ঞানী অ্যালান প্লাস্কেট (Allan Plaskett) ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময়ে। স্নিকোমিটার টেকনোলজি প্রথম ব্যবহার করে যুক্তরাজ্যের চ্যানেল ৪

যখন বল ব্যাটের প্রান্ত মৃদুভাবে ছুঁয়ে অতিক্রম করে যায় তখন সাধারণত বোঝা যায় না সেই শব্দ। সেই শব্দ ধারণ করে এই স্নিকোমিটার। বল সত্যিকার অর্থে ব্যাটে আঘাত করেছে কি না সে সম্পর্কে তথ্য টেলিভিশনের দর্শকদের সামনে তুলে ধরতেই এই টেকনোলজি ব্যবহার হয়।

ব্যাটের সাথে বল লাগার পর আওয়াজ সৃষ্টি হয়, আবার প্যাডের সাথে বল লাগলেও আওয়াজ সৃষ্টি হয়। তাহলে আমরা এই দু’টিকে আলাদা কিভাবে করবো??

ব্যাটের সাথে বল লাগার পর গ্রাফটি একটু বেশি উঠানামা  করে এবং শব্দ তুলনামূলক তীক্ষ্ণ হয়। একারণে এসম স্নিকোমিটারের  গ্রাফ একরকম থাকে।

আবার, প্যাডের সঙ্গে বল লাগলে গ্রাফ ঐরকম উঠানামা করে না এবং শব্দ ও তুলনামূলক কম তীক্ষ্ণ হয়।  একারণে, এক্ষেত্রে গ্রাফটি আলাদা হয়ে থাকে। 

তাই সহজ ভাবে বলতে গেলে, স্নিকোমিটার হচ্ছে শব্দের গ্রাফিক্যাল ডিসপ্লে যার মাধ্যমে শব্দ তরঙ্গ খুব ভালোভাবে প্রত্যক্ষ করা যায়। 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন