শহরের ক্লান্তি আর কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে কয়েকটা দিনের জন্য শহর থেকে অনেক দূরে প্রকৃতির মাঝে কোন জায়গা থেকে ঘুরে আসার কোন বিকল্প নেই। আর এক্ষেত্রে সুন্দরবন হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।
কাজের চাপ, মানুষের ভিড়, গাড়িঘোড়ার শব্দ এসব থেকে বাঁচতে সুন্দরবনের নির্জনতা আপনাকে দেবে এক দারুন উপভোগ্য সময়। নদীর মাঝখান দিয়ে বয়ে চলা লঞ্চ, চারপাশে সবুজ আর সবুজ, পাখির ডাক আর বন্যপ্রাণীর বিচরণ আপনাকে দিবে অসাধারণ কিছু সময়ের স্মৃতি।
শহরের এই ব্যস্ততাকে ছাপিয়ে উঠতে আমরা কয়েকজন তাই একদিন যাত্রা শুরু করলাম সুন্দরবন অভিমুখে। কমলাপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টায় চিত্রা এক্সপেসই আমাদের বাহন। ঠিক ৭টায় ট্রেন ছাড়লো। যমুনা সেতু, হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পার হয়ে ভোর ৬টা নাগাদ আমরা পৌঁছে গেলাম খুলনা।
পূর্বনির্ধারিত ট্যুরিজম প্যাকেজের আওতায় খুলনা রেলস্টেশন সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ টার্মিনাল – ৪ থেকেই আমাদের লঞ্চ ছাড়ার কথা। লঞ্চ ঘাটেই ছিল। উঠে পড়লাম। লঞ্চের কেবিন বয় আমাদের যার যার রুম বুঝিয়ে দিল। ব্যাগটা রেখে হাতমুখ ধুয়ে ফ্রেশ হতে হতেই দেখলাম চারিদিক আলোকিত হয়ে গিয়েছে। একসারিতে বেশ অনেকগুলো লঞ্চ দাড়িয়ে আছে আর পেছনে বয়ে চলেছে রূপসা নদী। ঠিক ৮টায় লঞ্চ ছাড়ল সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। মনের ভেতর এক দারুণ রোমাঞ্চ ভর করলো।
বাংলাদেশের দক্ষিণ অংশে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত পৃথিবীর এই বৃহত্তম জোয়ারধৌত গরান বনভূমি বা ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট। সাতক্ষীরা, খুলনা এবং বাগেরহাট জেলার অংশবিশেষ জুড়ে বাংলাদেশের সুন্দরবন বিস্তৃত। পরস্পর সংযুক্ত প্রায় ৪০০ নদী-নালা, খালসহ প্রায় ২০০টি ছোট বড় দ্বীপ ও চর ছড়িয়ে আছে আমাদের এই সুন্দরবনে সুন্দরবনে।
সবার মতে ‘সুন্দরবন’ নামটি সম্ভবত সুন্দরী বৃক্ষের আধিক্যের কারণে (সুন্দরী-বন) অথবা সাগরের বন (সমুদ্র-বন) কিংবা এ বনভূমির আদিবাসী চন্দ্রবেদে থেকে উদ্ভূত। তবে সবচেয়ে প্রচলিত ব্যাখ্যাটি হলো এখানকার প্রধান উদ্ভিদ সুন্দরী বৃক্ষের নাম থেকেই এ বনভূমির নামকরণ করা হয়েছে। আমাদেরও প্রথমে তাই-ই মনে হয়েছিল।
সুন্দরবনের আয়তন নিয়ে সবার মাঝেই একটু দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে। তবে বাংলাপিডিয়ার মতে, এই বনভূমির বর্তমান আয়তন হবে প্রায় ৪ হাজার ১১০ বর্গ কি.মি.। এর প্রায় ১ হাজার ৭০০ বর্গ কি.মি. জলাভূমি। তবে এটি হচ্ছে বাংলাদেশে অবস্থিত সুন্দরবনের দুই-তৃতীয়াংশ অঞ্চলের পরিমাপ। এর বাকিটা পড়েছে ভারতে।
সুন্দরবনের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর জীববৈচিত্র্য। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই বনেই রয়েছে আমাদের রয়েল বেঙ্গল টাইগার। আরও বাস করে ৫০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৩২০ প্রজাতির আবাসিক ও পরিযায়ী পাখি, প্রায় ৫০ প্রজাতির সরীসৃপ প্রাণী, ৮ প্রজাতির উভচর এবং প্রায় ৪০০ প্রজাতির মাছ। রয়েল বেঙ্গল টাইগার ছাড়াও এই বনে বাস করা উল্লেখযোগ্য প্রানিদের মধ্যে রয়েছে মায়া হরিণ, চিত্রা হরিণ, বন্য শুকর, রেসাস বানর, বন বিড়াল, সজারু, কুমিরসহ অসংখ্য প্রাণী।
এসব বন্যপ্রাণীর সুরক্ষার কথা বিবেচনা করেই ১৮৭৫ সালে সুন্দরবনকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭৪ সালে এ বনভূমির প্রায় ৩২ হাজার ৪০০ হেক্টর এলাকাকে বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ১৯৯৯ সাল থেকে সুন্দরবন UNESCO World Heritage Site-এর অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
এবার গল্পে ফিরে আসা যাক। দুপুর ১২টা নাগাদ লঞ্চ পৌঁছে গেল করমজল। এখানে রয়েছে একটি ছোট চিড়িয়াখানা এবং কুমির প্রজনন কেন্দ্র। জনপ্রতি প্রবেশমূল্য ২৩ টাকা। করমজল ঘুরে আর ক্যামেরায় ছবি তুলে ফিরে গেলাম লঞ্চে এবং যাত্রা করলাম হারবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে। দুপুরের খাবার খেলাম লঞ্চে।
বিকাল ৪টায় চলে গেলাম হারবাড়িয়া। এখানে আপনি অনেকটাই সুন্দরবনের অনুভূতি পাবেন। কেননা ঘাটে নেমে একটু সামনে এগুলেই দেখতে পাবেন বিভিন্ন জায়গায় লেখা রয়েছে ‘বাঘ হইতে সাবধান’। সাইনবোর্ড দেখে আমাদের সবারই একটু গা ছমছম করতে লাগলো। নিজেরা তাই একটু কাছাকাছি ঘেঁষে হাটতে লাগলাম।
তবে খারাপ কোন কিছুই ঘটলো না। বরং জঙ্গলের ঘ্রান নিতে নিতে এক সুনশান পরিবেশে নিজের মনটাকে শান্ত করে নিতে পারলাম অনায়াসেই। সে প্রশান্তি বলে বোঝানোর মত নয়।
লঞ্চে ফেরার পর সেটা আবার যাত্রা শুরু করলো। এবার উদ্দেশ্য কটকা। রাত ১টায় লঞ্চ কটকা পৌঁছে গেল। রাতে নোঙর করলো সেখানেই। বনের নিস্তব্ধতা কান পেতে শুনতে শুনতে কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম টেরই পাইনি। নির্জন পরিবেশে রাতে একটা দারুণ ঘুম হল।
সকালে ঘুম ভেঙে রুম থেকে বের হতেই দেখলাম এক অসাধারণ দৃশ্য। দুপাশে গরান গাছের জঙ্গল আর জঙ্গলের একদম কোনায় এসে গাছ থেকে পাতা খাচ্ছে কয়েকটা চিত্রা হরিণ। আশেপাশে তাকাতেই এরকম আরও অনেকগুলো হরিণ দেখতে পেলাম। চোখ জুড়িয়ে গেল সকালবেলা এই দৃশ্য দেখে।
এখানে একটা মজার জিনিস খেয়াল করবেন যে গাছগুলোর পাতা মাটি থেকে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায়। যেন সমান করে ছেঁটে রাখা হয়েছে গাছগুলোর পাতা। প্রথমে অবাক লাগলেও পরে জানলাম হরিণ যে উচ্চতায় উঠে পাতা খেতে পারে সে পর্যন্ত কোন পাতা থাকে না। তাই দেখতে এরকম লাগে।
সকালে নাস্তা করেই নেমে পড়লাম কটকা অফিসপাড়া এলাকায়। এখানে জঙ্গল তুলনামূলক অনেক ঘন। মূল সুন্দরবনের অনুভূতিটা পেলাম এই জায়গায়। জঙ্গলের ভেতর আরও অনেক হরিণ দেখতে পেলাম, দেখলাম গাছে গাছে বানর আর বন্য শুকরও। আমাদের সাথের একজন সুযোগ বুঝে বানরের সাথে একটা সেলফিও তুলে ফেললো।
অফিসপাড়া এলাকা ঘুরাঘুরি শেষ করে ট্রলারে নদী পার হয়ে আমরা রওনা দিলাম কটকার জামতলি সী বিচের উদ্দেশ্যে। প্রায় ৩০-৪০ মিনিট বনের মধ্যে দিয়ে হাঁটতে হবে এই বিচে পৌঁছানোর জন্য। হাঁটা শুরু করলাম। দুপাশে কোথাও হালকা বন আবার কোথাও ঘন বন। রাস্তায় একটা টাইগার ওয়াচ টাওয়ার পড়লো। সবাই হুড়মুড়িয়ে উঠে পড়লাম। তবে কোন টাইগার দেখতে না পেলেও আশপাশের বিস্তৃত সবুজ বনের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারলাম অনেকটাই।
বলে রাখা ভালো, আমাদের সুন্দরবন অর্থনৈতিক কর্মকান্ডের একটি উলেখযোগ্য কেন্দ্র হিসেবেও বিবেচিত। এখান থেকে সংগৃহীত হয় নানা কাজে ব্যবহার উপযোগী বনবৃক্ষ, আহরিত হয় প্রচুর পরিমাণ মধু, মোম ও মাছ। পথে যেতে একটা মৌমাছির চাকও দেখতে পেলাম আমরা।
জামতলি বিচে গিয়ে কিছুক্ষন মুগ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। এর আগে কক্সবাজার, পতেঙ্গা আর কুয়াকাটা বিচ দেখার অভিজ্ঞতা থাকলেও কোন বন সংলগ্ন বিচ দেখা এই প্রথম। পেছনে ঘন জঙ্গল, মাঝখানের কিছুটা বালির বিচ আর সামনে দিগন্তবিস্তৃত বঙ্গোপসাগর। এ এক অভাবনীয় দৃশ্য। বিচের বালিতে আনমনে হাঁটলাম কিছুক্ষন।
কটকা ঘোরা শেষ হলে আমরা বিকালে পৌঁছুলাম সুন্দরবনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান হিরণ পয়েন্টে। এর আরেক নাম নীলকমল। জায়গাটা একটি ঘোষিত অভয়ারণ্য বলে এখানে বন্যপ্রাণীর বিচরণ তুলনামূলক বেশি। এসব প্রাণী দেখার জন্য একটা ওয়াচ টাওয়ারও রয়েছে। বলা বাহুল্য, আমরা এ ওয়াচ টাওয়ারটিরও সদ্ব্যবহার করলাম।
সেদিন সন্ধ্যায় লঞ্চ ছেড়ে গিয়ে রাতে নোঙর করলো আলোরকোল নামক জায়গায়। এটি আসলে দুবলার চরেরই একটি অংশ।
সকালবেলা নাস্তা সেরে সবাই নেমে পড়লাম আলোরকোল। জায়গাটা শুঁটকির জন্য বিখ্যাত। একটু সামনে আগানোর পরই আমরা এর সত্যতা যথাযথভাবে উপলব্ধি করতে পারলাম। যতদূরই সামনে আগাই দেখি চারিদিকে শুধু শুঁটকি বানানোর প্রক্রিয়া চলছে। দুবলার চরের সরল মানুষগুলোর জীবনযাত্রা আর শুঁটকির রাজ্য দেখতে দেখতে আমরা চরের অনেকটা ভিতরেই চলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে শুঁটকি কিনে আবার ফিরে আসলাম লঞ্চে। এবার যাত্রা শুরু খুলনার দিকে।
লঞ্চে উঠেই মনটা খারাপ হয়ে গেল। এবার যে ফিরে যাওয়ার যাত্রা। ফিরে যেতে হবে আবারো সেই লোকে-লোকারণ্য শহরে। একটাই আফসোস, বহুল প্রতীক্ষিত সুন্দরবনের রাজা রয়েল বেঙ্গল টাইগার আর দেখা হলো না। যাকগে, সেটাও না হয় আরেকবার হয়ে যাবে।
সুন্দরবন ভ্রমণ বিস্তারিত এবং খরচ:
ঢাকা থেকে সরাসরি খুলনা হয়ে বা মংলা থেকে যাওয়া যায় সুন্দরবন। তবে সদরঘাট থেকে সরাসরি লঞ্চেও যাওয়া যায়। কিন্তু সেটি অনেক খরচ এবং সময়সাপেক্ষ।
ঢাকা থেকে বাসে ও ট্রেনে উভয়েই খুলনা যাওয়া যায়। ট্রেনে শোভন চেয়ারের ভাড়া ৪৬৫ টাকা। নন-এসি বাস ভাড়া ৫০০-৫৫০ টাকা এবং এসি ১০০০-১২০০ টাকা। ঢাকার গাবতলি, কল্যাণপুর, আসাদ গেট, কলাবাগান, সায়দাবাদ এসব জায়গা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। সোহাগ, হানিফসহ বেশ কয়েকটা ভালো বাস সার্ভিস রয়েছে খুলনায়।
সুন্দরবনে বেশ কয়েকটা উপায়ে ঘুরতে পারেন। আপনার টিম যদি ছোট হয় (৫-১৫ জন) তাহলে একটা ট্রলার ভাড়া করতে পারবেন। ট্রলারেই থাকা, খাওয়া এবং ঘুমানোর ব্যবস্থা থাকে। তবে একটু কম অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় হলে এবং নিরাপত্তা নিয়ে সংশয় থাকলে এগুলোতে না গেলেও পারেন। সেক্ষেত্রে ছোট টিম বা ২-৩ জনের জন্য ভালো উপায় হচ্ছে বিভিন্ন ট্যুরিজম কোম্পানিগুলোর অফার।
এসব ট্যুরিজম কোম্পানিগুলো সপ্তাহে বৃহস্পতি-শনিবার এবং সোম-বুধবার প্যাকেজ দিয়ে থাকে। সাধারন ইকোনোমি প্যাকেজ আপনি ৭০০০-৯০০০ পর্যন্ত পাবেন। আর একটু বিলাবহুলভাবে থাকতে চাইলে জনপ্রতি গুনতে হবে ১২০০০-১৮০০০ টাকা পর্যন্ত। এই খরচের মধ্যে আপনার লঞ্চভাড়া, ফুয়েল, খাবার, নাস্তা, প্রত্যেকের সরকারী পাশ, রেভিনিউ, গাইড, গানম্যান, বনে ঘুরার ছোট নৌকা সহ অন্যান্য সব খরচ ইনক্লুড থাকে (অনেক ক্ষেত্রে ঢাকা-খুলনা-ঢাকা বাস টিকিটও থাকে)।
বড় গ্রুপ অর্থাৎ ৩০ থেকে ১০০ জন পর্যন্ত যেতে চাইলে সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে একটা আস্ত লঞ্চই ভাড়া করে ফেলা। সুন্দরবনে যাওয়ার জন্য ছোট, মাঝারি ও বড় এই তিন সাইজেরই লঞ্চ পাওয়া যায়। ছোট লঞ্চে ৩০-৪০ জন, মাঝারি লঞ্চে ৬০-৭০ জন এবং বড় লঞ্চে ৯০-১০০ জন অনায়াসে থাকতে এবং ঘুমাতে পারবে। এসব ক্ষেত্রে মাথাপিছু খরচও অনেকটা কম পড়ে।
বড় টিম নিয়ে যাওয়ার সময় আপনারা চাইলে পুরো দায়িত্ব ট্যুর অপারেটরকে দিয়ে দিতে পারেন। সেক্ষেত্রে ট্যুর অপারেটর আপনার বাজেট অনুযায়ী মাথাপিছু একটা খরচ নির্ধারণ করবে এবং সে অনুযায়ী সব ব্যবস্থা করে দিবে। তবে শুধু লঞ্চ ভাড়া নিয়ে বাকি সব কাজ নিজেরাও আয়োজন করা যায়। সেক্ষেত্রে বাবুর্চি ঠিক করা, বাজার করা, বনবিভাগের পারমিশন এসব কাজ নিজেদেরই করতে হবে। এসব কাজে দক্ষ এবং অভিজ্ঞ না হলে এই রাস্তায় না যাওয়াটাই ভালো।
সুন্দরবন ঘুরতে গেলে মূলত দুটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখবেন। এক- দেখার জায়গা এবং দুই- খাবার। তাই এ দুইটি বিষয় ট্যুর অপারেটরের সাথে ভালোভাবে কথা বলে নিশ্চিত হয়ে নিন। আপনাকে কোন লঞ্চে নিয়ে যাবে, কোন কোন জায়গা ঘুরাবে, কোন বেলায় কি খাবার দিবে এসব তথ্য ভালোভাবে জানুন। পারলে টাকা দেয়ার আগে একটি লিখিত চুক্তিও করে ফেলুন। সম্ভব হলে নির্ধারিত লঞ্চটিও একবার দেখে নিতে পারেন।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আপনার সুন্দরবন ট্যুরটি হয়ে উঠবে অসাধারণ। আমাদের গর্বের সুন্দরবন তার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য দিয়ে আপনার মনে জায়গা করে রাখবে অনেকদিন। নদী, সমুদ্র আর প্রকৃতির এই অপার্থিব মিলন দেখতে সময় করে চলে যান এই ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইটে।