গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গার অভাবে প্রায়ই বিপাকে পড়তে হয় ঢাকাবাসীকে।
অাপাতত ঢাকাবাসীর জন্য নতুন কোন পার্কিং লট তৈরির সুখবর না থাকলেও মহাকাশচারীদের জন্য রয়েছে।
নতুন দুটি পার্কিং স্পট নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র (International Space Staion) বা আইএসএস-এ কাজ শুরু করেছেন নভোচারীরা।
এই পার্কিং স্পট দুইটি ২০১৭ সালে চালু হতে যাওয়া আইএসএস-এর নতুন স্পেসক্রাফট সংযুক্ত করার কাজে ব্যবহার করা হবে।
এছাড়াও আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে যেখানে আগে ৬ জন মানুষ থাকতে পারতো এখন সেখানে ৭ জন থাকতে পারবে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ক্রু এবং জিনিসপত্র আনা-নেওয়া করার কাজে আমেরিকান কোম্পানি ‘বোয়িং’ এবং ‘স্পেস এক্স’-কে দায়িত্ব দিয়েছে স্পেস এজেন্সি নাসা।
মহাকাশে গবেষণা করার জন্য আইএসএস সববৃহৎ এবং সুবিধা সংবলিত স্থান। ১৯৯৮ সালে এখানে কাজ করা শুরু হয়। ২০০০ সাল থেকে এখানে প্রতিনিয়ত মানুষ বসবাস করে আসছে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্র পৃথিবীর ভূমি থেকে ২৫০ মাইল বা ৪০০ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থান করছে। প্রতি ৯০ মিনিটে এটি একবার পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে একসাথে সর্বোচ্চ ৬ জন মানুষ থাকতে পারে। এই স্পেস স্টেশনের আয়তন একটি ফুটবল মাঠের চেয়েও বড়। যে অংশটুকুতে মহাকাশচারীরে বাস করে সেটা ৫ বেডরুমের সমান একটা জায়গা।
এখানে ২টি বাথরুম এবং ১টি ব্যায়ামাগারও রয়েছে। ৩৬০ ডিগ্রি ঘুরানো জানালাও রয়েছে এখানে। আমাদের পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘোরা এবং মানুষ দ্বারা স্থাপিত সবচাইতে বড় উপগ্রহ এটি। এই উপগ্রহ এতোই বড় যে পৃথিবী থেকেও এটাকে দেখা যায়।
পৃথিবী থেকে আইএসএস-এ সবচেয়ে দ্রুত যাওয়ার রেকর্ডটি হয়েছিলো ২০১৩ সালে। একটি রাশিয়ান স্পেসক্রাফট কাজাখিস্তান থেকে ৩ জন নভোচারীকে আইএসএস-এ নিয়ে যায় মাত্র ৬ ঘণ্টায়, যা কিনা লন্ডন থেকে নিউইয়র্ক যেতে যে সময় লাগে তার চেয়েও কম।