শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকা ২০১৫

আগামী ১১ জুন (বাংলাদেশ সময় ১২ জুন) থেকে শুরু হচ্ছে কোপা আমেরিকার ৪৪তম আসর। যা শেষ হবে আগামী ৪ জুলাই (বাংলাদেশ সময় ৫ জুলাই) ফাইনালের মধ্য দিয়ে।

ফুটবল ভক্তদের কাছে বিশ্বকাপ ও ইউরোকাপের পর অন্যতম জনপ্রিয় এই প্রতিযোগিতা, বিশেষ করে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার সমর্থকদের কাছে আলাদা এক গুরুত্ব বহন করে এই টুর্নামেন্ট।

প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল ঘেঁষে একটি লম্বা ফিতার মত প্রসারিত ভূখণ্ড হিসেবে পরিচিত দেশ চিলিতে আয়োজিত হবে এই আসর। কনমেবলের আবর্তন নীতি অনুযায়ী প্রতিযোগিতাটি ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু ২০১৩ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ, ২০১৪ ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২০১৬ গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক আয়োজনের জন্য কোপা আমেরিকা আয়োজন করছে না ব্রাজিল।

কনমেবলের ১০টি দেশ এবং ২টি অতিথি দেশসহ মোট ১২টি দেশ নিয়ে খেলা হবে এই টুর্নামেন্ট। দলগুলো হচ্ছে আর্জেন্টিনা,  ব্রাজিল, কলম্বিয়া, উরুগুয়ে (বর্তমান বিজয়ী),  ভেনেজুয়েলা, বলিভিয়া, চিলি (আয়োজক দেশ), ইকুয়েডর , প্যারাগুয়ে, পেরু, জ্যামাইকা (আমন্ত্রিত) ও  মেক্সিকো (আমন্ত্রিত)

চিলির আটটি শহরের নয়টি আলাদা স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক চিলি মুখোমুখি হবে ইকুয়েডরের ।

কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। এই প্রতিযোগিতার বিজয়ী দল রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২০১৭ ফিফা কনফেডারেশন্স কাপে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে।

উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ ফুটবল শুরুর ১৪ বছর আগে থেকেই অর্থাৎ ১৯১৬ সালে আর্জেন্টিনার স্বাধীনতার ১০০ বছর উপলক্ষে ব্রাজিল, উরুগুয়ে, আর্জেন্টিনা আর চিলি এই চার দেশকে নিয়ে শুরু হয় কোপা আমেরিকা। তখন এই প্রতিযোগীতার নাম ছিল দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপ।

১৯৭৫ সালে বতর্মান নাম কোপা আমেরিকা বা স্প্যানিশ Campeonato Sudamericano Copa América (কাম্পেওনাতো সুদামেরিকানো কোপা আমেরিকা) নামকরণ করা হয়।

প্রথম আসর বসেছিলো আর্জেন্টিনাতে। মজার ব্যাপার হল কোপা আমেরিকা’র মতো বিশ্বকাপও শুরু হয়েছিলো দক্ষিণ আমেরিকায় এবং দুটি ক্ষেত্রেই চ্যাম্পিয়ন দলের নাম উরুগুয়ে, রানার্সআপ দলের নাম আর্জেন্টিনা।

দারুন জনপ্রিয়তা দেখে কোপা আমেরিকা শুরুর পরের বছর, ১৯১৭ সালে প্রতিষ্ঠা পেলো দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল সংগঠন ‘কনমেবল।’ সেবছরই কোপা আমেরিকার ২য় আসর বসলো উরুগুয়েতে। ভেন্যু বদলালেও বদলায়নি আর্জেন্টিনার ভাগ্য। সেবারও আর্জেন্টিনাকে হতাশ করে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয় উরুগুয়ে।

৯৯ বছর ধরে চলা এই টুর্নামেন্টের ৪৪ আসরে সর্বোচ্চ ১৫ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে উরুগুয়ে, ১৪ বার আর্জেন্টিনা, ৮ বার ব্রাজিল।    

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন