সঙ্গীতের অমর স্রষ্টা যারাঃ মোজার্ট

মোজার্টের সঙ্গীত শোনো, আরও ভালো ফুটবল খেলবে

-ইতালির সাবেক কোচ জিওভান্নি ত্রাপোত্তানি

সুরের জগতের অনন্য এক নাম “মোজার্ট”। সঙ্গীত ভালোবাসেন, কিন্তু মোজার্টের নাম শোনেন নি এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

মোজার্টের পুরো নাম উলফগ্যাং এমাডোজ মোজার্ট। ১৭৫৬ সালে জন্ম হয় এই বিখ্যাত সুরস্রষ্টার।

মাত্র তিন বছর বয়সে ক্ল্যাভিয়ার নামক বিশেষ কী-বোর্ড বাজানো শিখেন তিনি এবং ৫ বছর বয়সেই ভায়োলিনে তাঁর দক্ষতা অবাক করে দিতে শুরু করে সবাইকে। বিখ্যাত কম্পোজিশন ‘Sonata’ লিখেন মাত্র ৭ বছর বয়সে এবং তাঁর প্রথম পূর্নাঙ্গ সিম্ফোনি প্রকাশিত হয় তাঁর ৮ বছর বয়সে। ১৪ বছর বয়সে  Mitridate re di Ponto (Mithridates, King of Pontus) নামক অপেরা লিখে সাড়া জাগিয়ে তোলেন পুরো ইউরোপে। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হচ্ছে পড়ালেখা বা যেকোনো শব্দ শেখার আগেই সঙ্গীতে তাঁর হাতেখড়ি হয়। মোজার্টের জীবনে লেখা সব সিম্ফোনীর মধ্যে অর্ধেকের বেশি লেখা হয়েছে তাঁর ১৯ বছর বয়সের মধ্যেই।

১৭৮৭ সালে আরেক কিংবদন্তি, যিনি ছিলেন মোজার্টের চেয়ে ১৫ বছরের জুনিয়র, বেথোভেন দু’ সপ্তাহের জন্য মোজার্টের কাছে আসেন সঙ্গীত ক্লাস করতে। মোজার্টের দীক্ষায় বেথোভেন লিখে ফেলেন বিখ্যাত “Cadenzas (WoO 58)”।

মোজার্টের রেখে যাওয়া স্কোরগুলো বর্তমান ক্লাসিক্যাল সঙ্গীত চর্চায় সমূহ ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। তাঁর রেখে যাওয়া একেকটি সিম্ফোনি সুদূর ভিয়েনা থেকে লন্ডন; ভলগা থেকে গঙ্গা সব জায়গায় ছড়িয়ে পড়েছে এবং কালান্তরে অজেয় হয়ে আছে মোজার্টের একেকটি সৃষ্টি।

মোজার্টের শেষ সিম্ফোনির নাম হলো “জুপিটার”, যা তিনি ১৭৮৮ সালে লিখেন। ১৯৮৪ সালে মোজার্টকে নিয়ে নির্মিত হয় বিখ্যাত চলচ্চিত্র Amadeus। চলচ্চিত্রটি সেরা সিনেমার ক্যাটাগরিতে অস্কার জয় করে।

মোজার্টের বিখ্যাত সৃষ্টিগুলো হচ্ছেঃ

Greatest Works of Mozart

  • The Magic Flute(Opera)
  • Don Giovanni. (opera)
  • Marriage of Figaro (opera)

Concertos

  • Piano Concerto (K. 595 in B-flat)
  • Piano Concerto No.21 in C, K.467
  • Clarinet Concerto K. 622,

Symphonies

  • Symphony No.39 in E flat, K.543

Choral Works

  • Ave verum corpus K. 618,
  • Requiem K. 626.

Other

  • String quintets (K. 614 in E-flat),

১৭৯১ সালে মাত্র ৩৬ বয়সে অস্ট্রিয়ায় মারা যান এই প্রতিভাবান কিংবদন্তীতুল্য সুরসম্পাদক। ২৩০ বছর আগে করে যাওয়া সেই সুরের মূর্ছনা আজও মাতিয়ে রাখে সারা বিশ্বের সঙ্গীতপ্রেমীদের। শুধু ২৩০ বছরই নয়, মোজার্ট মরে গিয়েও বেঁচে আছেন কোটি হৃদস্পন্দনে, পৃথিবীর সবখানে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন