কেক সম্পর্কিত সবচেয়ে জনপ্রিয় উক্তি হল ফরাসি রাজকন্যা ম্যারি এন্টোনাইটের (Marie Antoniette), “Qu’ils mangent de la brioche!” বা “Let them eat cake!” ।
কেক এমন একটি মজাদার খাবার যা ছোট বড় সবাই খেতে পছন্দ করে। বিভিন্ন স্বাদের কেক বহু বছর ধরে কেক প্রেমিদের মন জয় করছে।
সাধারণ চকলেট-ভ্যানিলা কেক যেমন আছে তেমন গাজর, মিষ্টিকুমড়া, মটরশুঁটি, পেঁপের কেকও আছে! কেক এর প্রতি অ্যামেরিকানদের ভালোবাসা এতোটাই প্রবল যে প্রতি বছর নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখ অ্যামেরিকায় জাতীয় কেক দিবস পালন করা হয় এবং এই দিনটি অ্যামেরিকান ক্যালেন্ডারে একটি সরকারি ছুটির দিন। কারণ একই দিন ‘থ্যাংকম গিভিং ডে’-ও পালিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
প্রাচীন নরস (old Norse) শব্দ “কাকা” (kaka) থেকে কেক শব্দটির উৎপত্তি। প্রাচীন গ্রিস ও ইজিপ্ট বিশ্বকে প্রথম কেক-এর সঙ্গে পরিচয় করায়।
পাউরুটি বানানোর মিশ্রণ এর সাথে মধু, ডিম, মাখন মিশিয়ে বাষ্পে সেদ্ধ করে তারা কেক তৈরি করে। প্রাচীন মানুষদের বানানো প্রথম কেকটি ছিল ব্যানানা কেক(Banana cake)। এখনকার জনপ্রিয় চিজ কেকও গ্রিকরা সর্বপ্রথম ছাগলের দুধ দিয়ে তৈরি করে।
প্রাচীন সময়ে গ্রিকদের তৈরি কেক এখন গ্রিক ঐতিহ্যবাহী ব্যালাক্লাভা (Balaklava) নামে পরিচিত। গ্রিকদের পরে, রোমানরা রাতে খাবার শেষে মিষ্টান্ন হিসেবে কেক খেত।এক সময় তাদের তৈরি কেকে ক্রিমের ব্যবহার শুরু হয়। তাছাড়াও তারা মধু, বাদাম ও নানান ফল দিয়ে কেক খেত।
১৯১৯ সালে যখন যুক্তরাষ্ট্রে “গ্রেট ডিপ্রেশন” (Great Depression) নামের মন্দা শুরু হয় তখন লাখ লাখ ক্ষুধার্ত, অভুক্ত অামেরিকান যারা দারিদ্রের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলো, তারা এমন একটি খাদ্য খুঁজতে থাকে যা তৈরি খুব সহজ এবং খুব সস্তা।
অামেরিকান নারীরা তখন বক্স ভর্তি নানান ধরনের কেক তৈরির বুদ্ধি বের করে ও সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে বক্স ভর্তি কেক এর প্রচলন শুরু হয়।
মন্দার সময় কেক অামেরিকানদের জন্য খুবই সহজলভ্য একটি খাদ্য ছিল বলে কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তারা ২৬ নভেম্বর জাতীয় কেক দিবস পালন করে। তবে ঠিক ২৬ নভেম্বর তারিখকেই কেন কেক দিবস হিসেবে বেছে নেয়া হলো সেই তথ্য এখনও অজানা!
কেক দিবসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সকল বেকারির দোকানে নানান আকর্ষণীয় অফার দেওয়া হয়। স্কুলগুলোতে বাচ্চাদের জন্য মেলার ব্যবস্থা করা হয় যেখানে সব স্টলই থাকে কেকের। এমনকি কর্পোরেট অফিসগুলোতেও কেক তৈরি করার প্রতিযোগিতা হয়।