এবার প্রশান্ত মহাসাগর সাঁতরে পার!

আটলান্টিকের পর এবার সাঁতরে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দেয়ার ইচ্ছ প্রকাশ করেছেন ফরাসি নাগরিক বেনইত। পেশায় পরিবেশবিদ এই ব্যক্তির লক্ষ্য হচ্ছে সমুদ্র দূষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা গড়ে তোলা।

৪৮ বছর বয়সী বেনইত লেকমতে আসছে বছরের জানুয়ারিতে তার যাত্রা শুরু করার পরিকল্পনা করেছেন। জাপান থেকে যুক্তরাষ্ট্র পর্যন্ত প্রায় ৮ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার পথ সাঁতরে পার হবেন তিনি। প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা করে সাঁতরাবেন।

পুরো পথ পাড়ি দিতে তার সময় লাগবে প্রায় ৬ মাস। তার সাথে সবসময় ৬ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাহাজ থাকবে।

যদি লেকমতে প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিতে সক্ষন হন তাহলে তিনিই হবেন প্রথম ব্যক্তি যিনি সাঁতরে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাসাগর পার হলেন।

তবে এটি শুধু স্টান্টই নয়, লেকমতে এই কাজের মাধ্যমে পরিবেশের উপর সচেতনতা গড়ে তুলতে চান। তিনি যে সময়টা সাঁতরাবেন তখন ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া তাকে অনুসরণ করবে। এ সুযোগটাই কাজে লাগাতে চান তিনি।

লেকমতে জন্ম ফ্রান্সে হলেও তিনি বর্তমানে আমেরিকার টেক্সাসের বাসিন্দা। এর আগে ১৯৯৮ সালে তিনি আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দেন।

বাবার ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য সাহায্য তোলা আর ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতা তৈরিই ছিল তার মূল লক্ষ্য।

লেকমতে বলেন, ‘আমি চাইনা আমার নাতিনাতনিরা গল্প শুনুক যে একসময় পৃথিবীর সমুদ্রে হাঙর, টুনা এরকম অনেক মাছ ছিল বা তাদের ছবি দেখাতেও চাইনা। আমি চাই এসব প্রাণী বেঁচে থাকুক’।

তবে আক্রমণকারী হাঙরের হাত থেকে বাঁচতে লেকমতে নিয়েছেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। তার সাথে থাকা জাহাজে থাকবে সোনার সিস্টেম যা হাঙর কাছে এলে সংকেত দিবে। এছাড়া হাঙর তাড়ানোর জন্য ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করতে পারবে জাহাজটি।

লেকমতে খাওয়াদাওয়া করবেন সাঁতরানো অবস্থায়ই। তার পিঠে থাকা একটি বোতল থেকে তিনি প্রতি ২০-৩০ মিনিট পরপর স্যুপ বা তরল কিছু খাবেন যাতে তাকে থামতে না হয়। রাতে ঘুমাবেন জাহাজে। পরদিন সকালে জিপিএস অনুসরণ করে আগেরদিন যেখানে শেষ করেছিলেন ঠিক সেখান থেকে আবার সাঁতরানো শুরু করবেন তিনি।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন