‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ, হ্যাপি বার্থডে ডিয়ার…’ এই গানটা আমাদের সকলেরই পরিচিত। কারো জন্মদিন পালন করার সময় এই গানটি না গাইলে যেন জন্মদিনের আমেজই আসে না। জন্মদিন পালনের সবচাইতে বহুল প্রচলিত গান এটি।
কিন্তু একটা জিনিস কি কখনও খেয়াল করেছেন? কোন সিনেমা, নাটক বা টিভি সিরিয়ালে এই গান খুব একটা বেশি দেখা যায় না। এর কারণটা খুব সাধারণ। এই গানটি ব্যবহার করতে হলে ব্যবহারকারীকে প্রচুর টাকা খরচ করতে হয়।
১৯৯৮ সালে পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত গান হিসেবে গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নেয় এই ‘হ্যাপি বার্থডে’ গানটি। তখন থেকেই এই গানের কপিরাইট করা হয়। ওয়ারনার মিউজিক গ্রুপের অধীনের এই গানটি ব্যবহার করতে হলে গুনতে হবে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার!
খেয়াল করলে দেখবেন কোন সিনেমা বা টিভি শোতে গানটি পুরোপুরি গাওয়া হয়না। গান শুরু হরেই স্ক্রীণে কেউ চলে আসে বা কেক কাটা শুরু হয়ে যায়- এভাবেই গানটি ব্যাহত হয়।
কিন্তু তারপরও কিছু কিছু মুভিতে পুরো গানটি ব্যবহৃত হয়েছে এই জনপ্রিয় গান। ১৯৯৪ সালে ‘হুপ ড্রিমস’ নামের একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মে কেন্দ্রীয় চরিত্রের জন্মদিন পালনে এই গান ব্যবহার হয়েছিল।
এর জন্য পরিচালককে গুনতে হয়েছিল ৫ হাজার ডলার। ২০০৩ সালে ‘দ্য কর্পোরেশন’ নামক একটি প্রামাণ্যচিত্রে এই গান ব্যবহারের জন্য ওয়ারনার গ্রুপ পরিচালককে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করে।
জেনে রাখা ভালো ১৯৮৩ সালে হ্যাপি বার্থডে গানটি সিস্টার প্যাটি এবং মিল্ড্রেড জে হিল সর্বপ্রথম চালু করেন তাদের কেন্টাকির কিন্ডারগার্টেন স্কুলে। তারপরই বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে গানটি ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এরপর গানটির কথায় কিছু পরিবর্তন এসেছে তবে সুর আগের মতই রয়ে গিয়েছে।
১৯৮৮ সালে ওয়ারনার মিউজিক গ্রুপ ২৫ মিলিয়ন ডলারের বিনময়ে গানটি কিনে নেয়।