ইউক্রেন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং জার্মানির নেতারা পূর্ব ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের একটা সাময়িক সমাধানে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছেন।
প্রায় ১ বছর ধরে চলা এ যুদ্ধে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে।
২০১৩ সালের নভেম্বর মাস থেকেই ইউক্রেনে অস্থিরতা শুরু হয়। সে সময় ইউক্রেনের অনেক নাগরিকই অসন্তুষ্ট ছিলেন। কেননা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট চাইছিলেন তাদের সরকার রাশিয়ার সাথে বন্ধন সুদৃঢ় করুক।
অথচ সে দেশের অনেক নাগরিকই চাইছিলেন তাদের বন্ধনটা ইউরোপীয়দের সাথে বেশি দৃঢ় হোক।
২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনকে ছেড়ে দেয় এবং সেখানে একটি অস্থায়ী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ইউক্রেনের ক্রিমিয়া অঞ্চলের অধিবাসীরা এ ব্যাপারে অসন্তুষ্ট ছিলেন।
যদিও তারা ইউক্রেনের একটা অংশ ছিলেন কিন্তু তাদের অনেকেই নিজেদেরকে রাশিয়ার নাগরিক বলে মনে করতেন। সে বছরেরই মার্চ মাসে ক্রিমিয়া নিজেদের রাশিয়ার অংশ হিসেবে ঘোষণা করে এবং রাশিয়াও তাদের গ্রহণ করে নেয়। ইউক্রেন এবং পৃথিবীর অনেক দেশই এটা মেনে নেয়।
কিন্তু ক্রমশ ইউক্রেনের পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে থাকে। ২০১৪ সালের এপ্রিল মাসে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি শহরের অধিবাসীরা তাদেরকে রাশিয়ার অংশ করে নেয়ার দাবি জানান। কিছু অধিবাসী বিদ্রোহ করে কয়েকটি শহরও দখল করে নেয়।
ইউক্রেনের সরকার সেসব অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সে সময় যুদ্ধ শুরু করে। তখন থেকেই ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও রাশিয়ান এ দলের সঙ্গে যুদ্ধ চলে আসছে।
সে বছর জুন মাসে ইউক্রেনের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা নেয় পেত্রো পরোশেনকো। তার চকোলেট এবং মিষ্টির কোম্পানি থাকায় সবাই তাকে ‘চকোলেট কিং’ বলেই ডাকা শুরু করে।