দুয়ারে কড়া নাড়ছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ১১তম আসর। ক্রিকেট মহাযজ্ঞের এ আসর মাঠে গড়ানোর বাকি আর মাত্র ৩ দিন। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের ভেন্যুতে গড়াচ্ছে বিশ্ব সেরা নির্ধারণের লড়াই। এবার এতে অংশ নিচ্ছে ১৪টি দল। বিশ্বকাপের এই দলগুলোর ধারাবাহিক পরিচিতির ৯ম পর্বে আজ থাকছে 'স্কটল্যান্ড'।
২০১৪ সালে আইসিসি সহযোগী সদস্যদের নিয়ে অনুষ্ঠিত আইসিসি ওয়ার্ল্ড টোয়েন্টি ২০-তে খেলার টিকেট পায়নি স্কটল্যান্ড। এরপরই পরিবর্তনের হাওয়া লাগে তাদের টিম ম্যানেজমেন্টে। স্কটিশদের সহকারী কোচ হিসেবে আসেন সাবেক ইংলিশ অধিনায়ক ও অলরাউন্ডার পল কলিংউড।
২০১৪ সালের বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আইসিসির সহযোগী সদস্য দেশ হিসেবে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গী হিসেবে স্কটল্যান্ড তৃতীয়বারের মত বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পেয়েছে।
১৯৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়টা স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। অবশ্য সেই ম্যাচে তারা প্রায় জিততে জিততেও হেরে যায় দলটি। ২০০৭ সালে আরো একবার বিশ্বকাপ খেলেছে স্কটল্যান্ড। দুবারই গ্রুপ পর্বের বাধা পেরুতে পারেনি। জয়ের দেখা পায়নি একটিতেও।
প্রথম জয়ের প্রত্যাশা নিয়েই এবার মাঠে নামবে স্কটল্যান্ড। দুটি বিশ্বকাপ খেলে এ পর্যন্ত স্কটল্যান্ডের অর্জন মোট ৮টি ম্যাচ খেলে ৮টি ম্যাচেই পরাজয়।
পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার মাজিদ হকই স্কটল্যান্ডের একমাত্র খেলোয়াড় যার বিশ্বকাপ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি ২০০৭ বিশ্বকাপ দলে খেলেছেন। স্কটল্যান্ড দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই ইংলিশ কাউন্টি ক্রিকেট খেলেন। ব্যাটিং লাইনআপে তাদের ভরসা দেয়ার মত ব্যাটসম্যান রয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ব্যাটসম্যান প্রেস্টন মমসেন এবারের বিশ্বকাপে স্কটিশ দলকে নেতৃত্ব দেবেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব ২০১৪-এর ম্যান অব দ্য সিরিজ হওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ফাইনালে অপরাজিত সেঞ্চুরি করে জিতিয়েছেন স্কটল্যান্ডকে। ক্যালাম ম্যাকলিয়ডের মত মারকুটে অলরাউন্ডারও আছেন এই দলে।
কাউন্টি দল লিস্টারশায়ারে খেলা বাঁহাতি রব টেলরও ব্যাটে-বলে দারুণ কার্যকর। পেসার আলস্যাডার ইভান্সও বিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চমকে দিতে পারেন। স্কটল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক অফ স্পিনার মাজিদ হক বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা। ব্যাটিং বোলিং মিলিয়ে মোটামুটি ব্যাল্যান্সড এ দলটির ফিল্ডিংটাও মন্দ নয়।
এদিকে বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে স্কটল্যান্ড। ম্যাট ম্যাচানের সেঞ্চুরি, অ্যালাসডার ইভান্স ও মাজিদ হকের দুর্দান্ত বোলিংয়ে আয়ারল্যান্ডকে ১৭৯ রানে হারিয়েছে তারা। এ জয়ে তারা বিশ্বকাপে আরো ভাল কিছু করার প্রত্যাশা নিয়েই মাঠে নামবে।
আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ডানেডিনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবে স্কটল্যান্ড। গ্রুপ-এ' তে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়তে হবে স্কটল্যান্ডকে।
এখনো আইসিসির সর্বশেষ প্রকাশিত র্যাংঙ্কিয়ে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারেনি যুক্তরাজ্যের অধীনে থাকা দেশ স্কটল্যান্ড।
এক নজরে স্কটল্যান্ড দল
বিশ্বকাপে অংশগ্রহন: ১৯৯৯ ও ২০০৭
সেরা সাফল্য: বিশ্বকাপে কোন জয় পায়নি।
কোচ: গ্রান্ড ব্র্যাডবার্ন (নিউজিল্যান্ড)।
এবারের বিশ্বকাপ দল: প্রেসটন মমসন (অধিনায়ক) কাইল কোয়েটর্জার, রিচি ব্যারিংটন, ফ্রেডরিক কোলম্যান, ম্যাথিউ ক্রস (উইকেট কিপার), জশুয়া ডেভি, আলস্যাডার ইভান্স, হামিশ গার্ডিনার, মাজিদ হক, মাইকেল লেস্ক, ম্যাট ম্যাচান, ক্যালাম ম্যাক্লাউড, সাফিয়ান শরীফ, রর্বাট টেলর এবং ইয়ান ওয়ার্ডল।
যারা নজর কাড়তে পারেন: প্রেসটন মমসন, ম্যাট ম্যাচান, আলস্যাডার ইভান্স।