শিশুদের জন্য বিশ্বের প্রথম জাদুঘর

অস্ট্রেলিয়াতে একটি মজার গবেষনা কেন্দ্র্র্র স্থাপন করা হয়ছে। বাচ্চাদের খেলাধুলা বিষয়ক তাদের মন মানসিকতা নিয়ে পড়াশোনা এবং গবেষণা করাই এ কেন্দ্রের কাজ। সিডনির কাছে উলংগং ইউনিভার্সিটিতে এ অবস্থিত এই গবেষণা কেন্দ্র একই সাথে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শিশু জাদুঘরও বটে।

জাদুঘরটি গত বছরের মে মাসে চালু হয়। সদ্য জন্ম নেয়া শিশু থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য এই জাদুঘর। উল্লেখ্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপিত এটিই প্রথম শিশু জাদুঘর।

জাদুঘরের প্রবেশমুখের কাছেই একটি বাঁশ দিয়ে একটি মাঝারি আকৃতির জাহাজ তৈরি করে রাখা হয়েছে যেখানে বাচ্চারা দৌড়ঝাঁপ করছে, হামাগুড়ি দিচ্ছে, খেলাধুলা করছে। এখানে শিশুর শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক দুরকমের খেলাই সম্ভব।

৪ বছর বয়সী বেন জানায়, ‘আমি জাহাজটি একটি জলদস্যুদের দ্বীপে ভিড়িয়েছি আর এখানে পেয়েছি গুপ্তধন’।

শিশু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মার্ক ডি রোজনে বলেন, এই ধরণের খেলাধুলা শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশের জন্য খুবই জরুরী। তাদের দৃষ্টিভঙ্গি, চিন্তাভাবনায় নতুন অনেক কিছু যোগ হয়।

এছাড়াও এখানে রয়েছে একটি কারুশিল্প কেন্দ্র, একটি মার্কেট, একটি প্রত্নতাত্ত্বিক খননস্থল, একটি কন্সট্রাকশন সাইট, একটি গুহাসহ আরও অনেক কিছু। বাচ্চাদের নাচ আর গান করার জন্যও একটি আলাদা জায়গা রয়েছে।

এখানে একটি কুমির আকৃতির ফোমের দুর্গ তৈরি করা হয়েছে যেটির মুখ দিয়ে বাচ্চারা হামাগুড়ি দিয়ে ঢুকতে পারবে এবং পাকস্থলী হয়ে পেছন দিক দিয়ে বের হতে পারবে। খাদ্যগ্রহন এবং হজম প্রক্রিয়া শিশুদের বোঝানোর জন্যই এটি তৈরি করা হয়েছে।

শিশুদের শারীরিক, মানসিক আর সামাজিক বিকাশ নিয়ে গবেষণা করার জন্য এখানে ৩০ জন গবেষক কাজ করছেন। তারা এখানে প্রায় ২ হাজার শিশুর উপর গবেষণা চালাচ্ছেন।

চালু হবার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার দর্শনার্থী পরিবারসহ এখানে ভ্রমণ করেছেন।

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন