মারভেল স্টুডিওজের প্রযোজনায় এবং ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওজ মোশান পিকচারসের সহযোগিতায় বাংলাদেশে গত পহেলা মে মুক্তি পেল 'দ্যা অ্যাভেঞ্জার্স' মুভির সিক্যুয়াল 'অ্যাভেঞ্জার্স : এইজ অফ আল্ট্রন'।
বিশ্বখ্যাত মারভেল কমিক্সের সুপারহিরো-টিম দ্যা অ্যাভেঞ্জার্স-এর ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের কাহিনীকার জস ওয়েডান নিজেই ছিলেন ছবিটি পরিচালনার দায়িত্বে। আই.এম.ডি.বি.-তে ৮.২ রেটিং পাওয়া এই সিক্যুয়ালটি ইতিমধ্যেই প্রথম দিনের আয়ের দিক থেকে সর্বকালের সেরা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
যুক্তরাজ্য ও ভারতসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে এপ্রিলের শেষে মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি এর মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাজার থেকে আয় করে নিয়েছে ৬৪৩ মিলিয়ন ইউ এস ডলার।
বাংলাদেশেও মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথেই সিনেমা হলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন দর্শকেরা। আর এই মুভির প্রতি বাংলাদেশী দর্শকদের আলাদা আকর্ষণ থাকার আরেকটি কারণ হল এই চলচ্চিত্রের কিছু অংশের দৃশ্য ধারণ করা হয়েছিল বাংলাদেশেরই সীতাকুন্ডের শিপ-ইয়ার্ডে গত বছরের জুন মাসে।
সিনেমায় দেখা যাবে পৃথিবীকে ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর আল্ট্রন এবং তার বাহিনীকে পরাস্ত করতে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে অ্যাভেঞ্জার্স বাহিনী।
স্কারলেট জোহানসন, রবার্ট ডাউনি, ক্রিস হেমসওয়ার্থ, মার্ক রাফেলো, জেমস স্প্যাডার, এলিজাবেথ অলসেনের মত একঝাঁক তারকা নিয়ে ২৫০ মিলিয়ন ইউ এস ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই নতুন অ্যাভেঞ্জার্স খুব সহজেই বছরের সেরা চলচ্চিত্রের স্থান দখল করে নেবে বলেই বিশ্বাস চলচ্চিত্র-বিশ্লেষকদের।
আর অ্যাভেঞ্জার্স-প্রেমীদের জন্য সামনে অপেক্ষা করছে আরো খুশির খবর। কেননা ইতিমধ্যেই অ্যাভেঞ্জার্স সিরিজের আরো দু'টি সিক্যুয়াল "অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি পার্ট ওয়ান" এবং "অ্যাভেঞ্জার্স : ইনফিনিটি পার্ট টু" যথাক্রমে ২০১৮-এর ৪ মে এবং ২০১৯ এর ৩ মে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বলে ঘোষণা করা হয়েছে।