পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গুহাটি হচ্ছে ভিয়েতনামে অবস্থিত ‘সন ডুং’ গুহা। এই গুহা এতোটাই বড় যে একটি বোয়িং ৭৪৭ বিমান এর ভেতরে অনায়াসেই এঁটে যাবে। এই গুহা নিয়ে রায়ান ডেবুড নামের একজন পেশাদার আলোকচিত্রশিল্পীর তোলা ছবি এবং ভিডিও সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোড়ন ফেলেছে।
তিনি এই গুহার ভেতরে ৮ দিন তাঁবু খাঁটিয়ে অবস্থান করেন। শুধু তাই নয়, তিনি একটি ড্রোনের গায়ে একটি আধুনিক ক্যামেরা বেঁধে সেটি গুহার ভেতরে পাঠান।
মধ্য ভিয়েতনামের ফুং না-কে বাং ন্যাশনাল পার্কে অবস্থিত সন ডুং গুহা। ২০০৯ সালে প্রথম এই গুহায় অভিযান চালানো হয়। কিছু কিছু জায়গায় গুহাটি ৫০০ ফুট চওড়া এবং ৬৫০ পর্যন্ত উঁচু। গুহার ভেতরে কোন মানুষ দাঁড়ালে তাকে দেখতে অস্বাভাবিক রকমের ক্ষুদ্র লাগে।
ডেবুড গুহার আনাচে-কানাচের ছবি নেয়ার জন্য ড্রোনের পাশাপাশি একটি কোয়াডকপ্টার ব্যবহার করেন। রিমোট কন্ট্রোল চালিত এই বিশেষ হেলিকপ্টারে একটি ক্যামেরা যুক্ত করা ছিল যেটি দিয়ে তিনি ছবি তোলেন।
ডেবুড বলেন, ‘গুহার ভেতরে কোন জিপিএস নেই। কাজেই আপনাকে নিজের ওপর ভরসা করেই চলতে হবে। তবে অবশ্যই খেয়াল করে চলতে হবে আপনাকে। গুহার ভেতরে প্রায়ই মেঘ তৈরি হয়। দমকা বাতাসে এই মেঘ উড়ে আসতে পারে। তাই সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে এখানে’।
গুহার ভেতরে জীববৈচিত্র্য কেমন জানতে চাইলে ডেবুড বলেন, ‘গুহার যেসব জায়গায় সূর্যের আলো পৌঁছায় সেখানে পাখি, সাপ, মাকড়সাসহ বিভিন্ন পোকামাকড় বাস করে। আর অন্ধকার জায়গাতে মাছ এবং অস্বচ্ছ একরকম ঘুণপোকা বাস করে। কখনও আলো পায়নি বলে এদের গায়ে কোন রং নেই।
গুহার ভেতরের গাছগুলো খুব সরু আর লম্বা। এরা আলো পায়না বলে আলোর জন্য খালি উপরে উঠতে থাকে। সেকারণে বেশি চওড়া হয়না এরা।
যদিও গুহাটি এখন যথেষ্ট সংরক্ষণ করা হচ্ছে তবে এটাকে আরও অনেকভাবে রক্ষা করা উচিত বলে জানান ডেবুড।