দক্ষিণ আফ্রিকার একদল বিজ্ঞানী ‘হোমো-নালেদি’ নামের নতুন এক মানবপ্রজাতির সন্ধান পেয়েছেন বলে ঘোষণা করেছেন। তাদের এই আবিষ্কার বিবর্তন সর্ম্পকিত গবেষণায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।
সাউথ আফ্রিকার একটি গুহায় এই নতুন মানবপ্রজাতি আবিষ্কৃত হয় বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেয় গবেষকেরা। ১৫টি মানবদেহের প্রায় ১ হাজার ৫০০টি হাড়ের ফসিল একত্রে পাওয়া গিয়েছে এই গুহায়। ২০১৩ সাল পর্যন্ত অনাবিষ্কৃত ছিল গুহাটি।
এই গবেষণাকাজে নেতৃত্ব দেয়া জোহানসবার্গের ইউনিভার্সিটি অফ উইটওয়াটারসর্যান্ডের অধ্যাপক লি বারজার বলেন, ‘মানুষের পূর্বপুরুষদের একটি নতুন প্রজাতিকে আপনাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারায় আমরা আনন্দিত’।
জোহানসবার্গ থেকে ৪৮ কিলোমিটার উত্তরে Cradle of Humankind নামের একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইটে আবিষ্কৃত হয়েছে হোমিনিন প্রজাতির এই মানুষ। গবেষকদল নতুন এই প্রজাতির নাম দেন ‘হোমো-নালেদি’। বিলুপ্ত মানব প্রজাতি এবং আধুনিক মানুষ উভয়েরই বৈশিষ্ট্য এদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।
হোমো-নালেদি যেখানে আবিষ্কৃত হয়েছে সেটা তাদের কোন কবরস্থান ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। যে ১৫টি দেহ পাওয়া গিয়েছে সেখানে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্কসহ বিভিন্ন বয়সের মৃতদেহ রয়েছে। তবে এদের কারোরই দাঁত বা নখ ছিল না।
হোমো-নালেদির হাত এবং পায়ের কিছু হাড়ের সাথে আধুনিক মানুষের মিল রয়েছে। তবে তাদের মস্তিষ্কের আকার খুব ছোট ছিল, একটা কমলার আকারের মত। গড়ে হোমো-নালেদি লম্বায় প্রায় ৫ ফুট এবং ওজনে ৪৫ কিলোগ্রাম ছিল।
যদিও ফসিলগুলোর সঠিক বয়স এখনো নির্ণয় করা যায়নি তবে আবিষ্কারকেরা বিশ্বাস করেন ২৫ লাখ থেকে ২৮ লাখ বছর আগে তারা পৃথিবীতে ঘুরে বেড়াতাে।