এখানে বরফের রঙ ফিরোজা !

পানি মানেই সুন্দর, আর পানি সমৃদ্ধ স্থানগুলো সুন্দরের লীলাভূমি। কিছু স্থান সরাসরি না দেখলে বোঝা যাবে না প্রকৃতি কত সুন্দর হতে পারে। রাশিয়ায় অবস্থিত বৈকাল হ্রদ তার মধ্যে একটি।                   

বৈকাল হ্রদ সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ

  • ১৬৪৩ সালে একজন রুশ গবেষক সর্বপ্রথম এ হ্রদের খোঁজ পান
  • প্রায় ২৫ মিলিয়ন বছর আগে ভূগর্ভস্থ প্রচন্ড আলোড়নের মাধ্যমে জন্ম এ হ্রদের।
  • এর আয়তন প্রায় ৫,৬০,০০০ বর্গ কিলোমিটার।
  • এর দৈর্ঘ্য প্রায় ৬৩৬ কিলোমিটার এবং প্রস্থ প্রায় ৭৯ কিলোমিটার।
  • এর গড় গভিরতা ৭৪৪.৪ মিটার।

সাগরের পানির নীল রং, কিংবা গভীর আটলান্টিকের সবুজ রং সবই আমাদের জানা। কিন্তু পানি জমে বরফ হয়ে যাওয়ার পর সেই বরফের রং যখন চকচকে নীল কিংবা গাঢ় রকমের নীল হয়, তখন সেটি অদ্ভুত লাগে। বৈকাল হ্রদের বেলায় এমনটা হয়ে থাকে। এ হ্রদের বরফগুলো এতটাই স্বচ্ছ যে অনেক নিচ পর্যন্ত (গড়ে প্রায় ১৩০ মিটার) দেখা যায় এবং এর উপর দিয়ে হেঁটে যেতে ভয় লাগে।

এই বৈকাল হ্রদের পানি অতিমাত্রায় সুপেয়। পৃথিবীর যেকোনো জলাধারের চেয়ে বেশি  সুপেয় পানি এই হ্রদে পাওয়া যায়।

বৈকাল হ্রদের বরফের রং সাদার পরিবর্তে ফিরোজা ধরনের হবার পেছনে মূখ্য কারণ হিসেবে ধরা যায় এ এলাকার তাপমাত্রার ক্রমাগত পরিবর্তন এবং চারপাশের পানির চাপকে।

এই হ্রদ এলাকার তাপমাত্রা শীতকালে হিমাঙ্কের নিচে ১৯ ডিগ্রী এবং সর্বোচ্চ ১৪ ডিগ্রী পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

এরকম নিম্ন তাপমাত্রায় স্বাভাবিকভাবেই পানি জমে বরফ হয়ে যায়, এখানেও এর বিকল্প নয়। শীতকালের বেশিরভাগ সময়ে শক্ত ধরনের বরফের সৃষ্টি হয়। কখনো কখনো তাপমাত্রার পরিবর্তনের কারণে বিকট শব্দে বরফগুলো স্থানে স্থানে ফেটে যায়।

সাধারণত জানুয়ারি থেকেই বরফে পরিণত হবার প্রক্রিয়া শুরু হয়, যা মার্চ মাস পর্যন্ত চলে। কিছু ক্ষেত্রে মে কিংবা জুনেও বরফের এ বর্ণচ্ছটা দেখা যায়। 

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন