রঙে রঙে একে অপরকে রাঙিয়ে গত শুক্রবার সমগ্র ভারতজুড়ে উদযাপিত হয়ে গেল হোলি। মন্দকে সরিয়ে ভালোর জয়ের প্রত্যাশায় এবছর সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা পালন করলেন এ উৎসব। আমাদের দেশের সনাতন ধর্মালম্বীরাও গত বৃহস্পতিবার পালন করেছেন এই উৎসবটি।
হোলি-কে বাংলায় বলা হয় দোলযাত্রা। শীতের শেষে ফাল্গুনের পূর্ণিমা তিথিতে এ উৎসব পালিত হয় বলে এর অপর নাম বসন্তোৎসব। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির ও গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সাথে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বৃহস্পতিবার এক টুইটারবার্তায় বলেন, ‘সবাইকে হোলির শুভেচ্ছা। আশা করি বর্ণিল এই উৎসব আপনাদের সবার জীবনে আনন্দ বয়ে আনবে’।
ড্রামের তালে আর গানের সুরে এদিন রঙের খেলায় মেতে উঠেছিল সবাই। রঙের গুঁড়ো, রঙিন পানি, পিচকারী এসব দিয়ে একজন আরেকজনকে রঙ মাখিয়েছে।
ভারতসহ নেপাল এবং অন্যান্য দেশ যেখানে অনেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ বাস করেন। সব জায়গাতেই সাড়ম্বরে হোলি পালন করে হয়। আমাদের পুরনো ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় এ বছরেও সকল ধর্মের মানুষ মিলিতভাবে দোল উৎসব উদযাপন করেছেন।
শাঁখারিবাজার এলাকায় এ দিন দেখা যায়, নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকল বয়সের মানুষ অংশ নিয়েছেন রঙ মাখানোর এ উৎসবে।
নাসিমুল শুভ নামের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন, “আজ গায়ে লেগেছে অসাম্প্রদায়িকতার রঙ!দাঙ্গাবাজির ধূসরতা ধুয়ে যাবে বাঙালির রঙের ফোয়ারায়!”
শাঁখারিবাজার ছাড়াও পুরনো ঢাকার তাঁতিবাজার, লক্ষ্মীবাজার, বাংলাবাজার এলাকায় এদিন প্রচুর মানুষ মিলিত হন। তাদের সবার মধ্যেই ছিল উৎসবের আমেজ। হোলি উপলক্ষে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে প্রতিবছরের মতো হোলি উৎসব ও কীর্তনের আয়োজন করা হয়।