নতুন আরেকটি সুয়েজ খাল

 

এখন থেকে আরও বেশি জাহাজ একসাথে চলাচল করতে পারবে মিশরের সুয়েজ খালে। ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন আরেকটি সংলগ্ন খাল খনন করা হয়েছে এখানে যার ফলে এখন দুটি খালে আলাদাভাবে দুইমুখী জাহাজ আসাযাওয়া করতে পারবে। একইসাথে আগের খালটিও গভীরতর এবং প্রশস্ততর করা হয়েছে।

এর আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০টি জাহাজ এই খালে চলাচল করতে পারতো। নতুন খালের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে, এখন থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতিদিন যেন কমপক্ষে ১০০টি জাহাজ এই খালে চলাচল করতে পারে।

মিশরে অবস্থিত সুয়েজ খাল ভূমধ্যসাগর এবং লোহিত সাগরকে সংযুক্ত করেছে। এটি একটি মানবসৃষ্ট খাল। পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি জাহাজ চলাচলকারী পথগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। ১৮৬৯ সালে উদ্বোধন করা এই খালটি ১৯০ কিলোমিটার লম্বা। আফ্রিকা মহাদেশ থেকে এশিয়াকে পৃথক করেছে সুয়েজ খাল।

এই সুয়েজ খাল পৃথিবীর শিপিং ইন্ডাস্ট্রিতে এক বিশাল পরিবর্তন করেছে কেননা এর ফলে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত যাওয়ার দূরত্ব অনেকখানি কমে গিয়েছে। আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে যাত্রা করা একটি জাহাজ যদি পানামা খালের পরিবর্তে সুয়েজ খাল ব্যবহার করে সিঙ্গাপুর যায় তাহলে জাহাজটির দূরত্ব ৪,৩০০ কিলোমিটার কমে যায়।

মানুষের তৈরি আরেকটি উল্লেখযোগ্য খাল হচ্ছে পানামা খাল। মধ্য আমেরিকার পানামা নামক দেশে অবস্থিত এই খালতির দৈর্ঘ্য ৮০ কিলোমিটার। উত্তর আমেরিকা ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশকে বিভক্তকারী এই খাল সংযুক্ত করেছে প্রশান্ত মহাসাগর ও আটলান্টিক মহাসাগরকে (ক্যারিবিয়ান সাগর)।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন