পরিসংখ্যানে বিশ্বকাপ: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম জিম্বাবুয়ে

· জয়ী দল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৭৩ রানে (ডাক-লুইস পদ্ধতিতে) জিম্বাবুয়েকে পরাজিত করেছে।

· দলীয় স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫০ ওভারে ৩৭২/২
                   জিম্বাবুয়ে ৪৪.৩ ওভারে ২৮৯/১০

· ম্যান অব দি ম্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (১৪৭ বলে ২১৫ রান)

· ম্যাচের সেরা ব্যাটসম্যান: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (১৪৭ বলে ২১৫ রান)

· ম্যাচের সেরা বোলার: ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেরম টেইলর (৩৮ রানে ৩ উইকেট)

· সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি (চার) মেরেছেন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস (১১টি)

· সবচেয়ে বেশি ওভার বাউন্ডারি(ছক্কা)মেরেছেন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (১৬টি)* ওয়ানডে ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড

· ম্যাচের সেরা স্ট্রাইকরেট: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (১৪৬.২৫)

· সর্বাধিক বল খেলেছেন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারলন স্যামুয়েলস (১৫৬ বল)

· সেরা পার্টনারশিপ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল- মারলন স্যামুয়েলস (২য় উইকেট জুটিতে ৩০৩ বলে ৩৭২ রান)* ওয়ানডে ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড

· হাফসেঞ্চুরি সংখ্যা: জিম্বাবুয়ে (২টি)করেছেন শন উইলিয়ামস ও ক্রেইগ আরভিন   

· সেঞ্চুরি সংখ্যা: ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২টি) করেছেন ক্রিস গেইল ও মারলন স্যামুয়েলস

· দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি: জিম্বাবুয়ের ক্রেইগ আরভিন (৩৭ বল)

· দ্রুততম সেঞ্চুরি: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (১০৫ বল)

· দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি: ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল (১৩৮ বল)

· মোট বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি সংখ্যা: ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২১টি চার ও ১৯টি ছক্কা), জিম্বাবুয়ে (২৮টি চার ও ৩ ছক্কা)

· সবচেয়ে বেশি রান দিয়েছেন: জিম্বাবুয়ের টিনাশে পানিয়াঙ্গারা ( ৯ ওভারে ৮২ রান)

· সবচেয়ে বেশি ইকোনমি রেট: জিম্বাবুয়ের টাফাডজওয়া কামুনগোজি (১২.৩৩)

· সবচেয়ে কম ইকোনমি রেট: ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেরম টেইলর (৩.৮০)

· সর্বাধিক ক্যাচ: ওয়েস্ট ইন্ডিজের দিনেশ রামদিন (২টি)

· এক ওভারে বেশি রান দিয়েছেন: জিম্বাবুয়ের টিনাশে পানিয়াঙ্গারা (২২ রান)

· অতিরিক্ত রান: ওয়েস্ট ইন্ডিজ (বাই ১, লেগবাই ২, ওয়াইড ১৬, নো বল ৫)
                       জিম্বাবুয়ে (লেগবাই ৯, ওয়াইড ১৬, নো বল ২)

· অন্যরকম কিছু রেকর্ড ও ঘটনা:
বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি করলেন ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিনোদনদাতা দানব খ্যাত ক্রিস গেইল। এটিই বিশ্বকাপে কোন ব্যাটসম্যানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রানের ব্যক্তিগত ইনিংসটি ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেনের অপরাজিত ১৮৮ রান ।

সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল ওয়ানডে ক্রিকেটে ডাবল সেঞ্চুরির ল্যান্ডমার্কটা ভারতীয়দের এতোদিন দখলে রেখেছিলেন। ২০১০ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে ইতিহাসের প্রথম ২০০ রানের মাইলফক ছুঁয়েছিলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ব্যাটিং জিনিয়াস শচীন টেন্ডুলকার। কাকতালীয়ভাবে এই ২৪ ফেব্রুয়ারিতেই প্রথম অভারতীয় হিসেবে বিশ্বকাপের ১৫তম ম্যাচে সেই একই কীর্তি করলেন গেইল।

ওয়ানডেতে তিন ভারতীয় যথাক্রমে শচীন টেন্ডুলকার ও বীরেন্দর শেবাগ করেছেন একটি। আর রোহিত শর্মা একাই করেছেন দুটি ডাবল সেঞ্চুরি। চতুর্থ ব্যাটসম্যান এবং পঞ্চম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে রেকর্ডবুকে নিজের জায়গা করে নিলেন ক্যারিয়ারের ২২ তম সেঞ্চুরি করা গেইল।

এই ম্যাচে ১৩৮ বলে ২০০ রান করে ওয়ানডের দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ডও নিজের করে নিলেন তিনি।

এই ম্যাচে ১৬টি ছক্কা মেরে ভারতের রোহিত শর্মা ও দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্সের সর্বোচ্চ ১৬টি ছক্কার রেকর্ডেও ভাগ বসালেন তিনি। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডের একমাত্র মালিকানা শুধু তারই।

ক্রিস গেইলই বিশ্বের একমাত্র ক্রিকেটার, যার টেস্টে ট্রিপল সেঞ্চুরি, ওয়ানডেতে ডাবল সেঞ্চুরি ও টি-টোয়েন্টিতে সেঞ্চুরি আছে।

এই ম্যাচেই তিনি ওয়ানডেতে ৯০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি করার পথে ১৫৬ বলে ১৩৩ রানে অপরাজিত থাকা মারলন স্যামুয়েলসের সাথে ৩০৩ বলে ৩৭২ রানের পার্টনারশীপ গড়েছেন শুন্য রানে এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়েও আম্পায়ারের কারণে বেঁচে যাওয়া এই ব্যাটিং দানব। যে কোনো উইকেটে এটা পার্টনারশিপের বিশ্বরেকর্ড।

শচীন টেন্ডুলকার ও রাহুল দ্রাবিড় মিলে ১৯৯৯ সালে দ্বিতীয় উইকেটেই গড়েছিলেন ৩৩১ রানের বিশ্বরেকর্ড। এছাড়া ২ উইকেটে ৩৭২ রান ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর।

 

 

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন