প্রতিকূল পরিস্থিতি

চলমান টানা অবরোধ দেশের আর সব ব্যবস্থার মতো শিক্ষা ব্যবস্থার উপর চরম আকার ধারন করেছে। আমরা যারা স্কুলের সঙ্গে যুক্ত আছি তাদের উপরও এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে। আমরা আমাদের স্কুলে শিক্ষার্থীদের আশানুরুপ উপস্থিতি পাচ্ছি না।

অনেক ছাত্রছাত্রী এই প্রতিকূল পরিস্থিতির কারণে স্কুলে আসতে পারছে না। তবে অবরোধের মধ্যেও আমরা স্কুল খোলা রেখেছি। আর অফিসিয়ালভাবেই আমরা অবরোধে স্কুল বন্ধ রাখতে পারি না। আর আমাদের সবচেয়ে বড় যে সমস্যাটা হচ্ছে সেটা হলো সব বাচ্চা স্কুলে না আসাতে আমরা চাইলেও পড়াটা এগিয়ে নিতে পারছি না। কারণ বাকি ছেলেমেয়েদের জন্য আবার তো আলাদা করে পড়াতে হতে হবে।

এর কারণে সিলেবাস শেষ করতে গিয়ে আমাদের অবশ্যই একটি বড় রকমের সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে। দ্বিতীয়ত যে সমস্যাটার মুখোমুখি আমাদের হতে হচ্ছে তা হলো যে সমস্ত ছেলেমেয়ে স্কুলে আসছে তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্কবোধ আমরা লক্ষ্য করছি।

এমনকি আমাদের শিক্ষকদের মধ্যে থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মধ্যেও একটা ভয় কাজ করে। কখন কোথায় গাড়িতে আগুন কিংবা পেট্রল বোমার মুখোমুখি পড়তে হয়।

আমরা না হয় এক সময় পড়াশোনাটা শেষ করে দিতে পারবো কিন্তু যেটা নিয়ে সবচেয়ে বেশি চিন্তিত সেটা হলো এতে করে এই শিক্ষার্থীরা যে ধরনের মানসিক অবস্থার মধ্যে পড়ছে তাতে করে তারা এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল ডিসঅর্ডারের মধ্যে পড়ে যায় কিনা সেটা আল্লাহ-ই বোধ হয় ভালো জানে।

আর এক্সট্রা কারিকুলাম নিয়ে তো ভাববার-ই অবকাশ নেই এখন। বাইরের যে পরিস্থিতি তাতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে স্টাডি ট্যুরের কোনো প্রশ্নই আসে না। এমনকি আমরা আমাদের পরিকল্পনা পিছিয়ে নিয়ে গেছি।

টানা অবরোধের কারণে আমরা কোনো কর্মপরিকল্পনা নিয়েই এগুতে পারছি না। এতে করে পুরো শিক্ষা ব্যবস্থার উপরই এর একটা মারাত্মক প্রভাব পড়বে। সেটা আমরা চাইলেও তখন এর ক্ষতিটা পুষিয়ে উঠতে পারবো না।

মোহাম্মদ রুহুল আমিন
চিফ কো-অর্ডিনেটর, ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউট
মালিবাগ, ঢাকা

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন