ফিরে আসছে সুপারসনিক বিমান

আর মাত্র কয়েকটি বছর, এরপর থেকে নিউইয়র্ক থেকে লস এঞ্জেলস মাত্র ২ ঘণ্টায় অথবা নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন মাত্র ৩ ঘণ্টায় যাওয়া যাবে। বিশ্বাস হচ্ছে না?

তবে এমনই একটা কিছু ঘটতে যাচ্ছে আমেরিকায়। আমেরিকার বিখ্যাত এরোস্পেস কোম্পানি লকহিড মার্টিন আর নাসা মিলিতভাবে তৈরি করতে যাচ্ছে এমন একটি যাত্রীবাহী বিমান যার দ্বারা আসলেই দূরপথ পাড়ি দেয়া যাবে খুব স্বল্পসমেয়।

এন+২ (N+2) নামের এই যাত্রীবাহী জেট বিমানে থাকবে ৮০টি সিট। শব্দের গতির চেয়ে বেশি গতিতে চলবে সুপারসনিক এই বিমান। কিন্তু শব্দের গতিবেগ ভেঙে চলা এই বিমান যে শব্দ তৈরি করবে তার প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে তাই নিয়ে সন্দিহান সবাই।

তবে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান দুইটি কঠোর পরিশ্রম করছে এই আওয়াজ কমানোর ব্যাপারে। তবে তারা বলছেন যে নতুন এই জেট বিমানের শব্দ কনকর্ডের যে শতগুন কম হবে।

১৯৬৯ সালে বিশ্বের সবচাইতে দ্রুতগামী প্লেন 'কনকর্ড' যাত্রা শুরু করে। ২০০৩ সালে এটি শেষবারের মত আকাশে উড়েছিল।

একই সময়ে আরেকটি সুপারসনিক বিমান নিয়ে বাজারে প্রতিযোগিতায় নামছে  ইউরোপিয়ান এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘এয়ারবাস’ এবং আমেরিকান ফার্ম ‘এরিওন’। প্রতিষ্ঠান দুটি যৌথভাবে নতুন জ্বালানি সাশ্রয়ী একটি বিমান তৈরি করতে যাচ্ছে।

‘এরিওন এএস২’ (AS2) নামের এই সুপারসনিক বিমানটি যাত্রী বহন করতে পারবে মাত্র ১২ জন। আর এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১২১৭ মাইল (যা কিনা সুপারসনিক কনকর্ডের প্রায় কাছাকাছি । কনকর্ডের ঘণ্টায় গতিবেগ ছিল ১৩৫০ মাইল)। দ্রুতগামী এই বিমান আপনাকে মাত্র ৩ ঘণ্টায় নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন আর মাত্র ৬ ঘণ্টায় লস এঞ্জেলস থেকে টোকিও নিয়ে যেতে পারবে।

এএস-২ যেহেতু তার উড্ডয়নের বেশিরভাগ সময় সমুদ্রের উপরেই কাটাবে তাই এর তীব্র শব্দ নিয়ে নির্মাতারা চিন্তিত নয়। তারা বরং জ্বালানি সাশ্রয়ের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন। এই বিমানের ডানাগুলো যেভাবে ডিজাইন করা হয়েছে তাতে বাতাসের বাধা ২০ শতাংশ কমে যাবে।

এএস২ এর নির্মাতারা ২০২২ সাল নাগাদ তাদের প্রথম প্লেন উড়াতে পারবে বলে ধারণা করছেন। অন্যদিকে লকহিড মার্টিন ২০২৫ সালের মধ্যে তাদের প্রথম এন+২ বাজারে ছাড়তে পারবে বলে আশা করছেন।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন