বক্সিং এমন একটি ক্রীড়া যেখানে ফিটনেসের গুরুত্ব অনেক বেশি। বক্সারের খেলার আগে পূর্বপ্রস্তুতি ও ক্ষিপ্রতা ম্যাচের ফলাফল তার অনুকুলে আনতে পারে। তাই, গোটা ক্যারিয়ার জুড়েই বক্সাররা নিজের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য অনুশীলন করে থাকেন। বক্সিং ট্রেনিংয়ে নিজের হাতের শক্তি বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যাগ ব্যবহার করা হয়, যেমন- হেভি ব্যাগ, ডাবল এন্ড ব্যাগ এবং স্পিড ব্যাগ। তবে একটি ব্যাগে ঘুষি মেরেই কি সত্যিকারের বিগ ম্যাচের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নেওয়া যায়? সেরা প্রস্তুতির জন্য চাই একটি প্র্যাকটিস ফাইট। এই প্র্যাকটিস ফাইটকে বলা হয় স্পারিং এবং যার সাথে এই ম্যাচে লড়াই করা হয় তাকে বলা হয় স্পারিং পার্টনার।
মনে রাখতে হবে যে, স্পারিং শুধুই একটি প্র্যাকটিস ম্যাচ, নিজেকে ম্যাচের আগে ঝালিয়ে নেওয়ার সুযোগ। এখানে বক্সাররা তাঁর দক্ষতা বাড়ানোর জন্য একে অপরের সাথে লড়াই করে, জয়ী হওয়ার জন্য নয়। তাই, স্পারিং এর সময় ইনজুরি এড়ানোর সব রকমের পদক্ষেপ নেওয়া হয়। গামশিল্ড, হেডগার্ড ও গ্রোয়েন গার্ড ব্যবহার করে স্পারিং করতে হয় যাতে আহত হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। স্পারিং গ্লাভসও লড়াইয়ের আসল গ্লাভস থেকে অধিক প্যাডযুক্ত থাকে যাতে ঘুষি লাগলে ব্যথা কম লাগে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই স্পারিং পার্টনার হিসেবে যে থাকে সে সাধারণত নবাগত বা কম অভিজ্ঞ হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে বক্সাররা তাঁর স্পারিং পার্টনারের সাথে কথা বলে একটি নির্দিষ্ট ধরনের পাঞ্চ বা ডিফেন্সিভ স্টাইলের উপরেই দীর্ঘক্ষণ প্র্যাকটিস করেন নিজের দুর্বলতা কাটানোর জন্য। ফলে ম্যাচের জন্য ভালভাবে প্রস্তুত হতে পারেন বক্সার নিজে। একজন অভিজ্ঞ ও বিখ্যাত বক্সারের সান্নিধ্য পেয়ে স্পারিং পার্টনারও অনেক কিছু শিখতে পারেন।
ম্যানি প্যাকোয়ার বিরুদ্ধে “ফাইট অব দ্যা সেঞ্চুরি”র প্রস্তুতির জন্য ফ্লয়েড মেওয়েদার মোট ৯ জন স্পারিং পার্টনারের সাহায্য নিয়েছিলেন! তবে তারকাদের স্পারিং পার্টনারকে অনেক ঝামেলাই পোহাতে হয়। মেওয়েদার বা প্যাকোয়াদের ঘুষি সহ্য করা সহজ ব্যাপার নয় বটে, সেটা যতই প্র্যাকটিস ম্যাচ হোক না কেন!