বিশ্বজুড়ে কাউকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’ গানটির বিকল্প এখন অবধি সৃষ্টি হয়নি। গানটি আমাদের সবারই পরিচিত এবং খুব প্রিয়। কারও জন্মদিনে সবাই মিলে গানটি না গাইলে যেন জন্মদিনই পালন করা হয়না।
কিন্তু খেয়াল করে দেখবেন এই গানটা কোন সিনেমা বা নাটকে খুব একটা শোনা যায়না। আর কেউ গাইলেও পুরো গানটা গাওয়া হয়না। কিন্তু কেন?
মূল কারণ হচ্ছে আমেরিকার প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার/চ্যাপেল মিউজিক এই গানের কপিরাইট নিয়ে রেখেছে। এর মানে হচ্ছে কেউ যদি কোন নাটক, সিনেমা বা অন্য কোথাও গানটি ব্যবহার করতে চায় তাহলে ওয়ার্নার/চ্যাপেল মিউজিককে টাকা দিতে হবে।
কিন্তু সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’ গানটি ওয়ার্নার/চ্যাপেল মিউজিকের অধিকারে নেই এবং এটি বিনামূল্যে যে কেউ ব্যবহার করতে পারবে।
১৮৯৩ সালে ‘গুডমর্নিং টু অল’ নামে একটি গানের কথা লেখেন এবং গান তৈরি করেন দুই বোন। মূলত স্কুলের বাচ্চাদের শোনানোর জন্যই তারা এই গানটি তৈরি করেছিলেন। ১৯০০ সালের শুরুর দিকে এই গানের সুরেই ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’ গানটি গাওয়া হতে থাকে। তবে এই গানের কথা কে লিখেছিলেন তা জানা যায়নি।
দুই বোন তাদের গানটির স্বত্বাধিকার দেয় একটি প্রকাশক প্রতিষ্ঠানকে। ১৯৩৫ সালে এই প্রতিষ্ঠান ‘হ্যাপি বার্থডে টু ইউ’ গানটির কপিরাইট রেজিস্ট্রেশন করে নেয়। ১৯৮০ সালে ওয়ার্নার/চ্যাপেল মিউজিক এই গানের স্বত্ব তাদের কাছ থেকে কিনে নেয়।
তখন থেকেই যারা কোন জায়গায় এই গানটি ব্যবহার করছেন তারা ওয়ার্নার/চ্যাপেল মিউজিককে টাকা দিয়ে আসছেন। প্রতি বছর প্রতিষ্ঠানটি এই গান থেকে প্রায় ২০ লাখ ডলার উপার্জন করে।
তবে এখন থেকে আর টাকা নিয়ে চিন্তা করার কোন দরকার নেই। গানটি সবার জন্য উন্মুক্ত।