‘ব্যালন ডি অর’ তুমি কার?

২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্তও টানা ৪ বার ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরষ্কার জেতেন আর্জেন্টাইন ফুটবলার লিওনেল মেসি।

মেসিকে হারিয়ে ২০১৩ সালের ফিফা ব্যালন ডি’অর জিতেছিলেন রোনালদো। এবারও বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কারটি উঠবে রিয়াল মাদ্রিদ তারকা ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর হাতে, এমনটাই মনে করছেন কোচ কার্লো আনচেলত্তি।

রিয়াল মাদ্রিদের এই কোচ বার্সেলোনা তারকা লিওনেল মেসির কোনো সুযোগই দেখছেন না। ব্রাজিল বিশ্বকাপে খুব একটা ভালো খেলতে না পারলেও গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতেন রোনালদো।

স্পেনের লা লিগায় ৩১ গোল করেন। আর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১৭টি গোল করে গড়েন এক মৌসুমে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ড। মনোনীতদের তালিকায় থাকা লিওনেল মেসি বার্সেলোনার হয়ে গত বছর কোনো শিরোপা জিততে পারেননি।

তবে দারুণ খেলে দেশকে ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল জেতেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।

ফিফা ও ফ্রান্স ফুটবল সম্প্রতি ২০১৪ সালের ফিফা ব্যালন ডি’অর পুরস্কারের জন্য ২৩ ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা ঘোষণা করেছে।

পর্তুগালের রোনালদোর সঙ্গে রিয়াল মাদ্রিদ থেকে তালিকায় আছেন ওয়েলসের গ্যারেথ বেল, ফ্রান্সের করিম বেনজেমা, জার্মানির টনি ক্রুস, স্পেনের সারজিও রামোস ও কলম্বিয়ার হামেস রদ্রিগেজ।

বায়ার্ন মিউনিখের ছয়জন হলেন জার্মানির মারিও গোটসে, ফিলিপ লাম, টমাস মুলার, বাস্টিয়ান শোয়াইনস্টাইগার ও মানুয়েল নয়ার এবং নেদারল্যান্ডসের আরিয়েন রবেন।
আর্জেন্টিনার মেসির সঙ্গে বার্সেলোনা থেকে এই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ব্রাজিলের নেইমার, স্পেনের আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা ও আর্জেন্টিনার হাভিয়ের মাসচেরানো।

পুরস্কারের জন্য মনোনীত তিন জনের নাম ঘোষণা করা হবে আগামী ১ ডিসেম্বর। ফ্রান্স ফুটবল ১৯৫৬ সাল থেকে ইউরোপের সেরা ফুটবলারকে ব্যালন ডি’অর পুরস্কার দিতো। ২০০৭ সাল থেকে পুরস্কারটি দেয়া হয় বিশ্বের সেরা ফুটবলারকে।

২০১০ সাল থেকে ফিফার বর্ষসেরা পুরস্কারের সঙ্গে একীভূত হয়ে এর নাম হয় ফিফা ব্যালন ডি’অর। বিজয়ীরা নির্বাচিত হন জাতীয় দলগুলোর অধিনায়ক ও কোচ এবং ফ্রান্স ফুটবল ম্যাগাজিনের বাছাই করা ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভোটে।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন