সদ্য প্রয়াত অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার ফিলিপ হিউজ মাথায় আঘাত পাওয়ার প্রায় তিন সপ্তাহ আগে নিউজিল্যান্ডের কোরি অ্যান্ডারসনের বাউন্সারে আহত হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন পাকিস্তানের ওপেনার আহমেদ শেহজাদ।
হিউজ নট আউট থাকলেও শেহজাদ কিন্তু ওই বলটিতেই ১৭৬ রানে হিট উইকেট হন। তবে হিউজের পরিণতির কথা ভেবে শেহজাদ নিজেকে পরম সৌভাগ্যবান ভাবতেই পারেন।
দুটি ঘটনাই সাম্প্রতিক সময়ের, তবে নতুন নয়। এর আগেও অনেক ব্যাটসম্যান এভাবে আহত হয়ে মাঠ ছেড়েছেন।
গত বছর ক্রিকেটে যেসব আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, তার মধ্যে ৬ শতাংশ ছিল বলের আঘাতের কারণে। আর ১৭ শতাংশই ছিল হেলমেটের পেছনের অংশের কারণে।
মাঠে ব্যাটসম্যানদের নিরাপত্তার জন্য যে হেলমেট ব্যবহৃত হয় সেটি কতোটুকু নিরাপদ তা নিয়ে বোধ হয় নতুন করে ভাববার সময় হয়েছে।
২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ব্রেট লির বলে একই ধরনের চোট পেয়েছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলিও। ভারতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়কও এবার দাবি তুলেছেন খেলোয়াড়দের হেলমেটের নকশায় পরিবর্তন আনার ব্যাপারে ।
সৌরভ গাঙ্গুলি বলেন, ‘সবচেয়ে স্পর্শকাতর অংশ হলো ঘাড় ও কাঁধের ফাঁকা অংশটা। হুক বা পুল করতে গেলে এইসব জায়গায় আঘাত পাওয়ার আশঙ্কা থাকে। ক্রীড়া পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর এটা নিয়ে ভাবা উচিত।’
ক্রীড়া পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক সময় নতুন মডেলের হেলমেট বাজারে ছাড়লেও হেলমেটের ওজন কিংবা আকৃতি বড় হলে পরতে অসুবিধার কারণে ক্রিকেটাররা একটু হালকা হেলমেটই পছন্দ করে থাকেন।
আইসিসি, ক্রীড়া পণ্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ও ক্রিকেটাররাও এ ব্যাপারে নতুন করে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছেন। তবে সব ক্রিকেটপ্রেমীদের দাবি মাঠে বলের আঘাতে হিউজের মৃত্যুই যেন শেষ মৃত্যু হয়।
প্রয়োজনে নতুন কোন প্রযুক্তির মাধ্যমে হেলমেটের নকশায় পরিবর্তন এনে আরাে নিরাপত্তামূলক এবং খেলোয়াড়দের উপযোগী পণ্য প্রস্তুত করতে হবে।