মানুষের শখ সীমাহীন। রঙ বেরঙের শখ, স্বপ্ন থাকে মানুষের। দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়ানো বা রোমাঞ্চকর কিছু করা এগুলো মানুষের পছন্দের তালিকায় উপরের দিকে থাকে। এমনই একটি রোমাঞ্চকর খেলা হচ্ছে Artificial Rock Wall Climbing।
প্রকৃতির সান্নিধ্য চায় না এরকম মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। পাহাড়ে চড়া, ঘুরে বেড়ানোই শখ বেশিরভাগ মানুষের। এরকম মানুষদের জন্যেই কৃত্রিমভাবে বানানো হয়েছে অনেক পাহাড়। এসব পাহাড়ে উঠে প্রকৃতির সান্নিধ্য পাওয়া যায় না, তবে উঠার সময় যে পরিমাণ রোমাঞ্চকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় সেটা আসলের চেয়ে কোনো অংশে কম না। এই অ্যাডভেঞ্চার এখন বিশ্বব্যাপী প্রচলিত একটি খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে, যার নাম “Artificial Rock Wall Climbing”।
১৯৩৯ সালের দিকে ইংল্যান্ডে উৎপত্তি হয় এই খেলার। তবে ১৯৬৪ সালে লিডস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ডন রবিনসনকে আধুনিক এই রোমাঞ্চকর খেলার অগ্রদূত হিসেবে ধরা হয়। তিনি নিজের ঘরের দেয়ালে খাঁজ বানিয়ে এই খেলার ইনডোর সংস্করণ চালুতে বড় ভূমিকা রাখেন।
বিভিন্ন ধরণের দেয়ালে এই খেলার রোমাঞ্চ উপভোগ করা যায়। তবে বেশিরভাগ দেয়াল হয় মজবুত ও পাতলা কাঠের তৈরি এবং সাথে থাকে গ্রানাইট, ফাইবার প্যানেলের পুরু আস্তরণ। ছোটো কিংবা বড় অনেকগুলো গর্ত বা পাথরের খাঁজ তৈরি করা থাকে একেকটি বোর্ডে, যেগুলোতে হাত এবং পা দিয়ে ভারসাম্য রক্ষা করতে হয় প্রতিযোগীদের। প্রত্যেক প্রতিযোগীর কোমরের সাথে পূর্ব সতর্কতা হিসেবে একটি মোটা দড়ি বা হার্নেস বাঁধা থাকে। এই খেলার মূল লক্ষ্য থাকে কত কম সময়ে ভূমি থেকে দেয়ালের শীর্ষে পৌঁছানো যায়। এই খেলার জনপ্রিয়তা এতই বেশি যে ২০২০ টোকিও অলিম্পিকে সংযুক্ত হতে পারে এই খেলা।
বাজে আবহাওয়া কিংবা যেকোনো ধরনের প্রতিকূলতায় Artificial Rock Wall Climbing দিতে পারে সত্যিকারের পাহাড়ে চড়ার আনন্দ ও এমনকি সাথে সাথে শারীরিকভাবেও তুলনামূলক বেশি সুস্থতাও আসে এই খেলার মাধ্যমে।