সাগর নিয়ে জানা-অজানাঃ ইজিয়ান সাগর

ইজিয়ান সাগর (Aegean Sea) ৩ হাজারের বেশি দ্বীপ ধারণ করে আছে। ধারণা করা হয় এসব দ্বীপ এবং ইজিয়ান সাগরের তীরবর্তী এলাকাতেই প্রাচীন গ্রিক সভ্যতা গড়ে উঠেছিলো।

গ্রিস এবং তুরস্কের মাঝখানে অবস্থিত ইজিয়ান সাগর মূলত ভূমধ্যসাগরের একটি অংশ। এটি দার্দেনেলিস ও বসফরাস প্রণালী দ্বারা মারমারা উপসাগর ও কৃষ্ণ সাগরের সাথে যুক্ত হয়েছে।

ইজিয়ান সাগর একসময় আর্কিপেলাগো (এটি গ্রীক শব্দ অর্থ প্রধান সাগর) নামে পরিচিত ছিল। কিন্তু ইংরেজিতে এর অর্থ বিবর্তিত হয়ে ইজিয়ান সাগরে পরিণত হয়েছে। তবে এনসাইক্লোপিডিয়ার মতে মায়সেনিয়ান বা মিনোয়ান শব্দ থেকে এসেছে ইজিয়ান শব্দটি।

ইজিয়ান সাগরের আয়তন প্রায় ২ লাখ ১৪ হাজার বর্গকিমি। এর উত্তরপূর্বে দার্দেনেলিস প্রণালী এবং দক্ষিণে আয়োনিয়ান সাগর, ভূমধ্যসাগর ও ক্রিট দ্বীপ অবস্থিত।

ইজিয়ান সাগরের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬১০ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ৩০০ কিলোমিটার। ক্রিট দ্বীপের উপকূল ঘেঁষেই ইজিয়ান সাগরের সর্বোচ্চ গভীর স্থানটি অবস্থিত যেটির গভীরতা প্রায় ৩২৯৪ মিটার।

ইরাক্লিও, ইযমির, পিরায়ুস, থেসালোকিনি, আলেক্সান্দ্রোপোলিস হচ্ছে ইজিয়ান সাগরের তীরবর্তী কিছু গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। এ বন্দরগুলো দিয়ে প্রচুর পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়ে থাকে। পর্যটনের জন্য ইজিয়ান সাগরের জুড়ি নেই। এই সাগরে অবস্থিত দ্বীপ আর সমুদ্র তীরগুলো অবসর কাটানোর জন্য অসাধারণ।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন!
অনুগ্রহ করে এখানে আপনার নাম লিখুন