নানামুখী পদক্ষেপের পরেও প্রাথমিকেই ঝরে পড়ছে ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। দারিদ্রতা, শিশুশ্রম ও অভিভাবকদের অসচেতনতাসহ বিভিন্ন কারণে এসব শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। গত রবিবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এসব তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রথম শ্রেণিতে ২ দশমিক ২ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। এছাড়া দ্বিতীয় শ্রেণিতে ২ দশমিক ৮ শতাংশ, তৃতীয় শ্রেণিতে ২ দশমিক ৯ শতাংশ, চতুর্থ শ্রেণিতে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ, ৫ম শ্রেণিতে ৩ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে।
শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে- বছরের শুরুতে প্রতিটি বিদ্যালয় ক্যাচমেন্ট এলাকাভিত্তিক জরিপপূর্বক ভর্তি নিশ্চিত করা, নিয়মিত মা সমাবেশ, উঠান বৈঠক এবং হোম ভিজিট কার্যক্রম রয়েছে।
এছাড়া বছরের প্রথম দিন শতভাগ শিক্ষার্থীর বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা, স্কুল ফিডিং, রূপালী ব্যাংক শিওর ক্যাশের মাধ্যমে শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান, শতভাগ বিদ্যালয়ে মি ডে মিল চালু করাসহ নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৯৩টি।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৩৮ হাজার ১০০ জন। তারমধ্যে প্রথম শ্রেণিতে ৩২ লাখ ৩২ হাজার ৮৬০ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩৪ লাখ ৬৫ হাজার ৪৩৬ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ৩৭ লাখ ১৮ হাজার ৭৮৮ জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ৩৮ লাখ ২৫ হাজার ২১৮ জন, ৫ম শ্রেণিতে ৩০ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯৮ জন।